জাতীয় মৎস্য উৎপাদনে আফিল এ্যাকুয়া ফিস লিমিটেডের স্বর্ণপদক লাভ

0
482

জাহিরুল ইসলাম মিলন,যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে     ২০১৮ সালে জাতীয় পর্যায়ে দুটি পুরুস্কার লাভ করেছে যশোর জেলা।আফিল গ্রুপ এর প্রতিষ্টান আফিল এ্যাকুয়া ফিস লিমিটেড এবং এম.ইউ.সি ফুডস লিমিটেড।

স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে উদ্ধৃত ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে যশোরের চাষীরা। চাহিদা ৬০ হাজার ৫৪৪ মেট্রিক টন হলেও জেলায় মাছ উৎপাদন হচ্ছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। জেলায় ৭৫ হাজার ৪৮৪ হেক্টর জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির এই মাছ চাষ হচ্ছে।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর যশোরে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। মাছ উৎপাদনের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ের স্বর্ণ ও রৌপ্য পদকও পেয়েছে চাষীরা।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শেখ শফিকুর রহমান।

যশোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলায় ৫০টি হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে কার্প জাতীয় রেণু পোনা উৎপাদন ৬৪ দশমিক ৮৬ মে. টন। জেলায় রেণু পোনার চাহিদা ১৫ দশমিক ২৩ মে. টন। উদ্ধৃত ৪৯ দশমিক ৬৩ মে. টন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তেলাপিয়া পোনা ১০১ দশমিক ৪০ মিলিয়ন উৎপাদন হচ্ছে।
জেলায় চাহিদা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন। তেলাপিয়ার উদ্ধৃত ৬ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন। পাঙ্গাশ রেণু উৎপাদন ৩ দশমিক ৬২ মে. টন এবং শিং মাগুর, পাবদা, গুলসা রেণু উৎপাদন শূন্য দশমিক ৮৫ মে. টন।

মাছ চাষে যশোর জেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।ড. শেখ শফিকুর রহমান বলেন, জেলায় ২০১৪ সালে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৮ মে. টন, ২০১৫ সালে ২ লাখ ৫ হাজার ৮১১ মে. টন, ২০১৬ সালে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ মে. টন ও ২০১৭ সালে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪২০ মে. টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বছর মাছ উৎপাদন বাড়ছে।

মাছ চাষে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে দুটি পুরস্কার লাভ করেছে যশোর জেলার চাষীরা। এর মধ্যে রুই জাতীয় মাছের পোনা, শিং, মাগুর, গুলসা, পাবদা ও শোল পোনা উৎপাদনে স্বর্ণ পদক পেয়েছে শার্শার আফিল এ্যাকুয়া ফিস লিমিটেড।

অপরদিকে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানিকরণে সদর উপজেলার এম.ইউ.সি ফুডস লিমিটেড রৌপ্য পদক। তাদের এই সম্মানে যশোরবাসীও গর্বিত।জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে সাতদিনের কর্মসূচি সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক হরেন্দ্রনাথ সরকার, জেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আক্তার উদ্দিন, যশোর হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফিরোজ খান।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here