‘জাতীয় পার্টি কখনও নষ্ট হবে না’

0
240

খবর৭১ঃ২৭ বছর ক্ষমতায় না থাকলেও জনগণের কাছে জাতীয় পার্টির আবেদন ফুরিয়ে যায়নি বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান ও সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। রোববার গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক যৌথসভায় বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ার‌ম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই সভার প্রধান অতিথি হলেও ‘অসুস্থতার কারণে’ উপস্থিত ছিলেন না তিনি। ২০ অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সমাবেশ নিয়ে সভায় আলোচনা করেন দলটির নেতারা।

রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রেসিডেন্ট থাকার সময় দেশের কী উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের সেগুলো মনে আছে। ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় না থাকলেও জনগণ সে কথা ভুলে যায়নি। আজকে এত বছর পর অনেকে ভাবতে পারে, জাতীয় পার্টি নিয়ে… কিন্তু আজকে বাঁচা-মরার প্রশ্ন নয়। জাতীয় পার্টি কখনও খারাপ হবে না, কখনও নষ্ট হবে না, কখনও খারাপ হবে না।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন এরশাদ।

সে দিকটি মাথায় রেখে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করার নির্দেশনা দিয়ে রওশন বলেন, জনগণ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয় আছে। আমরা যদি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? জাতীয় পার্টিকে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।

২০ অক্টোবরের সমাবেশের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, যার যা কিছু আছে, তা নিয়ে মহাসমাবেশে আসতে হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে উৎসাহিত করতে হবে, তাকে উদ্যম দিতে হবে। আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশকে ৪-৫টি অঞ্চলে ভাগ করে শিল্পায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন রওশন। হাই কোর্টের বেঞ্চগুলোকে বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি।

সভায় জাতীয় পার্টির কো চেয়াররম্যান জি এম কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দেশবাসী এখন কট্টরভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। নির্বাচনে যদি সব দল অংশগ্রহণ করে তবে আমরা জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচন করব। তবে সেখানে দর কষাকষির বিষয় আছে। সেখানে আমাদের শক্তি প্রদর্শনের বিষয়ও আছে। জনগণ এখন ক্ষমতার ভারসাম্য দেখতে চায়।

যৌথ সভায় জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে এই সভায় দলীয় মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদারও বক্তব্য রাখেন।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here