খবর৭১ঃএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু করতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা চাই আপনাদের পরিচালনায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে, যেমনটি হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
কর্মকর্তাদের সতর্কভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে কে জয়ী হল- সেটা আপনাদের দেখার বিষয় নয়। আপনাদের বিষয় হল- আচরণবিধি তারা কীভাবে পালন করে, সেটা দেখা। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, তিনিই হবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আইনানুগ নির্বাচন করতে হবে। আপনাদের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। সুতরাং এর প্রতিদান দিতে হবে। তিনি বলেন, সমস্যা হয় কাউন্সিলরদের নিয়ে। তাদের মধ্যে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষেত্রবিশেষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ভূমিকা রাখে। তবে আপনারা ক্ষিপ্রতা, নিরপেক্ষতা, বিচারিক মনোভাব নিয়ে যদি তাদের সামনে যান দেখবেন প্রত্যেকে আপনাদের কথা শুনবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে এ নির্বাচনকে আর নিরুত্তাপ বলার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মেয়রদের নগরপিতা বলা হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের অনুরূপভাবে নগরভ্রাতা বলা যেতে পারে। ভাইয়ের মতোই সুখে-দুঃখে তারা নাগরিকদের পাশে থাকবেন। এই তো সবার প্রত্যাশা।
আচরণবিধি ভঙ্গ করে কেউ অবৈধ উপায়ে যাতে কেন্দ্র দখল করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আপনাদের বিচারিক সক্ষমতার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
এই হতাশাব্যঞ্জক উক্তি থেকে বেরিয়ে এসে দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমে সেই কান্না আপনারা মুছিয়ে দেবেন। এটাই জনপ্রত্যাশা। অনিয়মের আচ্ছাদনে অযোগ্য প্রার্থীরা যেন নির্বাচনে জয়ী না হন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/ইঃ