জাতীয় ঐক্য হবে ভারসাম্যের ভিত্তিতে: মান্না

0
206

খবর ৭১ঃনাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাত করতে পারবে না-এমন একটা সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, সে জন্যই একটা নির্দলীয় সরকার হতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হতে হবে। আমরা এই বক্তব্যের ভিত্তিতেই সরকারের বাইরে থাকা সব দল নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যের জন্য চেষ্টা করছি। যে ঐক্য হবে রাজনৈতিক ভারসাম্যের ভিত্তিতে।

শুক্রবার রাজধানী গুলশানের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তফ্রন্টের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপিকে কোনো সমর্থন করা হবে না- এ ধরনের কোনো আলোচনা যুক্তফ্রন্টের বৈঠকে হয়নি জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বৈঠকে এ ধরনের কোনো আলোচনাই হয়নি। অথচ এই সংবাদ কয়েকটি চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে। যা আমাদের সামগ্রিক রাজনীতি ও আন্দোলনকে ড্যামেজ করে দিতে পারে।

জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াত তো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়ই আসতে পারবে না। যেহেতু তাদের নিবন্ধনই নেই। জামায়াত বিএনপি থেকে ১০ সিটে মনোনয়ন পেল কিন্তু তারা তো আর দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচন করবে না। জামায়াত তো ৫টা সিটে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়েও নির্বাচন করতে পারে। কারণ সরকারি দলের মধ্যেও তো যথেষ্ট অনুপ্রবেশ আছে। এটাকে নিয়ে যারা বড় ইস্যু করছেন তাদের বলছি, বাস্তব অবস্থা হচ্ছে রাজনৈতিক বা সাংগঠনিকভাবে জামায়াত নেই।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপির ঐক্যে কথা আমরা যে রকম করে ভাবছি, তার সঙ্গে মিলছে। মিলছে এই অর্থে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হলে তারা একা পারবেন না। এ জন্য বৃহত্তর ঐক্য চাইছেন। আমরাও মনে করি আমরা যারা চাইছি তারাও এই স্বৈরাচার থেকে লড়াই করতে একা পারব না। এখানে ঐক্যের একটা পয়েন্ট আছে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এতগুলো বিষয় আলোচনা হয়নি। তবে ঐক্য বহুভাবেই হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রথমত ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসানোটা কোনোভাবেই গণতন্ত্র নয়। এই কনসেপ্টটা বাকিদের এগ্রি করতে হবে, করে যদি তারা আলোচনায় বসেন, তাহলে আমরা ওমেন মাইন্ডে বসব।

মান্না বলেন, আমরা কিন্তু এখনো কিছু বলিনি যে মন্ত্রিত্ব দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগ বসাচ্ছি একটু কিছু দেন আমাকে। সে রকম না। কিছু না দিয়েও ভারসাম্য হতে পারে। না নিয়ে ভারসাম্য হতে পারে। আমি উভয়পক্ষের জন্য বলছি। ওনারা আমাদের কিছু দিলেন না, তা-ও হতে পারে। আমরা কিছু নিলাম না, তা-ও হতে পারে।

তিনি বলেন, ১২ জন এমপি নিয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, তাহলে আমরা তো ৫০-৬০ আসনে জিততে পারি, আমাদেরও প্রধানমন্ত্রী হতে পারে। আমরা বলি না যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। কিন্তু নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা ক্ষমতায় ভারসাম্য আনব। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি। প্রক্রিয়াগতভাবে কি কি হতে পারে।

ঐক্য হলে নেতৃত্বে কে থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কনসেপটা রং। সাম্প্রতিককালের উদাহরণ ১৫ দলের ঐক্য হয়েছিল। তার নেতৃত্বে কেউ ছিল না। কোনো চেয়ারম্যান আহ্বায়ক কিছুই ছিল না। বুধবার ৮ দলের একটা বামজোট হয়েছে। তার মধ্যে কোনো কনভেনার বা প্রেসিডেন্ট নেই। নেতৃত্বটা আসে বাস্তব আন্দোলনের মধ্যে থেকে। অথবা আন্দোলনের শক্তি যার যে রকম আসে সে রকম করে।

মান্না বলেন, এখানে আগে থেকেই কাউকে নেতা নির্বাচন করে নামতে হবে সে রকম নয়। যুক্তফ্রন্ট কিন্তু করেছে। তাদের একজন চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছে। আমরা মনে করেছি বয়সে অভিজ্ঞতায় জ্ঞানে এবং অনেক পরীক্ষায় উনি উত্তীর্ণ, উনি এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এই যে ঐক্যর প্রশ্ন আসছে তার মধ্যে নেতা কে হবেন সেটা তো বিতর্কিত ব্যাপার হতে পারে। আমরাই নেতৃত্ব দিতে পারি। কিন্তু সে রকম কিছু দাবি করছি না। সবার চিন্তার প্রতিফল যাতে থাকে সেটা হতে হবে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here