জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাবেন ড. কামাল

0
192

খবর৭১ঃ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাবেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে আহূত সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

কোনো কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি না মিললে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনও ঠিক করে রাখা হবে এই সমাবেশের জন্য।

শাসক দল আওয়ামী লীগ, তাদের শরিক দলগুলো এবং জামায়াতে ইসলামী বাদে দেশে সক্রিয় ডান-বাম-প্রগতিশীল ঘরানার প্রায় সবক’টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এতে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বুধবার ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব ফরোয়ার্ড পার্টির চেয়ারম্যান আবম মোস্তফা আমিন, সদস্য সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহেমদ ছাড়াও বৈঠকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা আওম শফিকউল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোস্তাক হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।

বৈঠকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ সফল করা, সমাবেশ থেকে কী ঘোষণা দেয়া হবে, সমাবেশে কাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে- এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত করাসহ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন ঐক্য প্রক্রিয়া ও গণফোরাম নেতারা।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমিন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তবে এটাও ঠিক, আমরা আরও একটি ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চাই না। দেশের মানুষও আর এ ধরনের নির্বাচন হোক তা চায় না।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। অবশ্যই এই নির্বাচন হতে হবে সব দলের অংশগ্রহণে। এর আগে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। আর এসব দাবিতে আমরা একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। ২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ সেই উদ্যোগের প্রথম ধাপ। আশা করি সরকার আমাদের এই উদ্যোগে বাধা হবে না।

জনমত গড়তে সেপ্টেম্বরজুড়ে সভা সমাবেশ করবে যুক্তফ্রন্ট

এদিকে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলাসহ জনগণের সম্মিলিত শক্তিকে জোরদার করার লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, জনসভা ও সভা-সমাবেশ করবে যুক্তফ্রন্ট।

বুধবার জোটের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে তার বারিধারার বাসভবন “মায়া-বি”তে অনুষ্ঠিত যুক্তফ্রন্টের এক অনির্ধারিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের জেএসডির সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

সূত্র জানায়, বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা শেষে ঈদুল আজহার পর থেকে পুরো সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সভা-সমাবেশ, জনসভা ও গণসমাবেশ করার কর্মসূচি নেয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে বলা হয়, যুক্তফ্রন্টের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো জনমত গঠন এবং অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত শক্তিকে জোরদার করা।

বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, যুক্তফ্রন্টের উদ্দেশ্য হলো, দেশের সব জনগণকে একতাবদ্ধ করা, অত্যাচার, স্বৈরাচার এবং গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জাতীয় চেতনা সৃষ্টি, জনগণকে ভবিষ্যতে ইতিবাচক রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করা এবং এই মতবাদ ও মর্মে যারাই বিশ্বাসী এই ধরনের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের যুক্তফ্রন্টে স্বাগত জানানো।

বৈঠকের আরেক সিদ্ধান্তে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকার যে নির্যাতন করেছে যুক্তফ্রন্ট তার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বৈঠকে ফ্রন্ট নেতারা বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে, তাই ঈদের আনন্দ নিগৃহীত ছাত্ররা যাতে পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপভোগ করতে পারে এই সুযোগ তাদের দিতে হবে। তারা ঈদের আগেই আটক ছাত্রদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here