জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ২০ দলে ঐকমত্য

0
258

খবর৭১ঃসাবেক রাষ্ট্রপতি ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর ব্রিফিং করে একথা জানিয়েছেন জোটের প্রধান নজরুল ইসলাম খান। এই বৈঠকটি প্রায় এক ঘণ্টা চলে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশ, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের বিষয়ে সম্মত ২০ দল।

তিনি বলেন, ২০ দল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের যে কথা বলেছেন তাতেও সমর্থন জানিয়েছে ২০ দল।

বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য জানান, খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জোর দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বৈঠকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দেওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করা হয়। খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করা হয়, এছাড়া তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক কমীর মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

বৈঠক শেষে ২০ দলের শরিক দলের এক নেতা বলেন, আমাদের আজকের বৈঠকের মূল আলোচনা ছিল চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাঁর সুচিকিৎসা ও আগামী সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি আদায়ে যেকোনো মূল্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন।

২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক দলের এক সভাপতি বলেন, জোটের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বৃহত্তর ঐক্য। যেকোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য গঠনে ২০ দলীয় জোট সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া জোটের ঐক্য ধরে রাখার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বৈঠকে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাহমুদ চৌধুরী।

২০ দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তাজা, বাংলাদেশ ন্যাপ-এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচ এম কামরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, জাগপা’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমদ, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন ও ডেমোক্রটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here