জর্ডানে পোশাকের বাজার অনেকাংশেই দখলে নিয়েছেন বাঙালি নারীরা

0
347

খবর৭১ঃ দিন দিনই বাঙালি নারীদের প্রভাব বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের পোশাকের বাজারে। এরইমধ্যে জর্ডানের পোশাক শিল্প অনেকাংশেই দখলে নিয়েছেন বাঙালি নারীরা। কর্মসংস্থানের সন্ধ্যানে দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিও বাড়ছে। প্রত্যাশিত বেতন-ভাতা, সুবিধাদির জন্য সেখানকার বাংলাদেশি নারীকর্মীরা সন্তুষ্ট।

জর্ডানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পোশাক শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর তা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে বাঙালি নারীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের মাঝামাঝিতে জর্ডানে বাংলাদেশি নারীশ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০ হাজারের অধিক। যা মোট প্রবাসী শ্রমিকের ৪৯ শতাংশ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০ থেকে ৬২ শতাংশে।

বেশ ক’বছর ধরেই দক্ষ শ্রমিক যাচাই-বাছাইয়ের পুরো প্রক্রিয়া দেখভাল করছে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বোয়েসেল সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশে কর্মী পাঠাতে সাহায়তা করে। এখানে নারী কর্মীদের শুধু পাসপোর্ট করে এলেই হয়। এরপর আর কোনো খরচ নেই। মেয়েরা বিনা খরচে জর্ডানে চাকরি পাচ্ছে।

নামি পোশাকশিল্প ক্লাসিক গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যানাল কুমার বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বোয়েসেলকে জানিয়েছেন, ভারতীয়, নেপালি, পাকিস্তানি, সিরিয়ান, শ্রীলংকান কিংবা জর্ডানিদের চেয়েও বাঙালি মেয়েদের কাজ অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং নিপুণ। ইন্টারন্যাশনাল বাইয়াররাও বাঙালিদের কাজের মুন্সিয়ানায় মুগ্ধ। তাই ক্লাসিক হচ্ছে বাঙালি নারীকর্মীদের স্বাচ্ছন্দের প্ল্যাটফরম।

প্রতি শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাংলাদেশ-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে পরীক্ষা দিচ্ছেন পোশাককর্মীরা। এই মুহূর্তে ক্লাসিক ফ্যাশনস এন্ড এ্যাপারেলসে প্রয়োজন ১০ হাজার বাঙালি কর্মী।

শুধু জর্ডানই নয়, বিশ্বের নানাপ্রান্তে বাংলাদেশি নারীরা নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। সঙ্গে বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যা দেশের জন্য গর্বেরই বিষয়।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here