জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পূর্বদরিল্যা মাদ্রাসার কার্যক্রম, পাঠদান ব্যাহত

0
379

এবি সিদ্দিক খসরু ,  নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের পূর্বদরিল্যা হোসাইনীয়া দাখিল মাদ্রাসায় জরাজীর্ণ একটি ভবন দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। আসবাবপত্র ও শ্রেনিকক্ষ সংকটের কারনে পাঠদান মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জানাযায়, এডিপি’র প্রথম ফ্যাসিলিটিজ বিল্ডিং-এর মাধ্যমে সরকারীভাবে নির্মিত ভবনটির আজ বেহাল দশা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ ও দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে প্রায় ১৫/১৬টি গভীর ফাটল ধরেছে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্বক দূর্ঘটনা। উপজেলার সীমান্তবর্তী রাজগাতী ইউনিয়নের সুকাইজুড়ি নদীর পাড় ঘেষে এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। পূর্বদরিল্যা মাদ্রাসাটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাটি হাটি পা-পা করে এলাকার শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। মাদ্রাসাটিতে সুপারসহ ১৪ জন শিক্ষক ও ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর একটি টিনসেড ঘর দিয়ে চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। পরে ১৯৯৪ সালে প্রথমে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মান করা হয়। যার একটিতে সুপারের কার্যালয় অপর দুটি কক্ষ এবং একটি টিনসেড ঘর দিয়ে কোনমতে চলছে পাঠদান। টিনসেড ঘরটিতে মেজে পাকা না থাকায় ও চালে অসংখ্য ছিদ্র থাকায় উক্ত ঘরটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাদ্রাসায় স্যানিটেরী ল্যাট্রিন ব্যবহার অনুপযোগি এবং নলকূপ সহ নানাবিধ সমস্যার কারনে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকে। মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রহিম জানান, এই মাদ্রাসায় এবতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী জড়াজীর্ণ শ্রেণী কক্ষে ঝুকি নিয়ে লেখাপড়া করছে। মাদ্রাসার দেয়াল বিভিন্ন জায়গায় প্লাষ্টার উঠে বিল্ডিং এ রড দেখা যাওয়ায় ভবনটি মারাত্বক ঝুকি পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে বসে পাঠ নিতে ভয় পায়। এ ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে ছাদ স্যাতঁস্যাতে হয়ে যায়। অনেক সময় ছাদ দিয়ে চুয়ে পানি পড়ে। ফলে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ২৩ বছরের মধ্যে শ্রেণীকক্ষগুলো সংস্কারে সরকারের কোন উদ্যাগ নেই। শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে জরুরী ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মান করা না হলে শিশুদের লেখাপড়ার মান ধরে রাখা যাবে না। মাদ্রাসা এলাকার কয়েকজন লোক জানান, দক্ষ ম্যানেজিং কমিটির পরিচালিত ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দিয়ে পাঠদান করায় প্রতি বছরই জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় সন্তোষ জনক ফলাফল করে আসছে এই প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সনের জেডিসি পরীক্ষায় অত্র মাদ্রাসা থেকে ৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ২জন এ+ সহ শতভাগ পাস করেছে। অনেকেই আশ্বাস দেওয়ার পরও আজ পর্যন্ত এই মাদ্রাসার কোন উন্নয়ন হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিন জানান, মাদ্রাসাটির দুরবস্থার কথা শুনেছি। এই ব্যপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here