খবর৭১:জম্মু-কাশ্মিরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ (সিআরপিএফ) অন্তত ৪০ সদস্যের নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ (বিএনপি) যেকোনও বেপরোয়া, বেআইনি, সহিংস রক্তপাতের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার।পৃথিবীতে জটিল ও রাজনৈতিক সংকটপ্রবণ স্থানে মানুষের বসবাস নিরাপদ ও নিশ্চিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে, নিরাপরাধ মানুষ হত্যার মাধ্যমে নয়। নির্মম অমানবিকতার দ্বারা মানুষের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা হতাশায় নিমজ্জিত হলে শঙ্কা ও ভয়ের ছায়াই কেবলমাত্র প্রসারিত হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) প্রায় আড়াই হাজার সদস্যকে নিয়ে ৭০টি গাড়ির একটি বহর জম্মু থেকে কাশ্মির যাচ্ছিল। বহরের একটি বাসে প্রায় সাড়ে তিনশ কেজি বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য আদিল। এতে প্রাথমিকভাবে ৪০ নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর খবর জানা গেলেও পরে নিহতের সংখ্যা ৪৪ জনে উপনীত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। গোষ্ঠীটি কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের অবসান চায়। মতাদর্শগতভাবে কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে অবস্থান তাদের।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্য, ‘ভারতের কাশ্মিরে রক্তাক্ত হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জন সদস্যের প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করছি। উপমহাদেশের এই অঞ্চলটি অনেক দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ। রক্ত ঝরছে সাধারণ মানুষসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। মানুষ ও মানবতা রক্ষার জন্য শান্তি ও স্থিতি অত্যন্ত অপরিহার্য। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তি ও সভ্যতার পরিপন্থী। এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে ওঠে।’
খবর৭১/জি