জনগণের ভোটে এসে আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আ. লীগ: মির্জা ফখরুল

0
276

খবর ৭১: আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আওয়ামী লীগ, আমরা খুব খুশি হবো, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। জনগণ ভোট দিক, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় আসেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরও বলেন, ‘কী কারণে আজকে দেশনেত্রীকে আটকে রেখেছেন? কী অপরাধ তার? একটা মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়েছেন। মাত্র দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার মামলা, যেখানে এক পয়সাও যায়নি। পুরোটাকার তিনগুণ টাকা এখনও অ্যাকাউন্টে জমা আছে। সেই মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আজকে তাকে কারাবন্দি করে রেখেছেন, শুধুমাত্র একটি কারণে। আপনারা জানেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে আগামী কোনও নির্বাচনে আপনাদের জয়লাভের কোনও সম্ভাবনা নেই।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট নিয়ে কথা বলা এখন একটি ডেড ইস্যু উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ব্রিটিশ আইন দেখলে আপনারা খুব পরিষ্কার জানতে পারবেন, সেখানে কোথাও বলা নেই যে, তাকে পাসপোর্ট বর্জন করতে হবে। নাগরিকত্ব বর্জন করতে হবে। আর আপনারা তো জানেনই পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্ব এক জিনিস নয়। পাসপোর্ট একটি ডকুমেন্ট এবং নাগরিকত্ব হলো তার রাইটস। এবিষয় নিয়ে আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করবো, এনিয়ে গণমাধ্যম অযথা সময় নষ্ট করবেন না।’

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে ভারত তাদের পক্ষে কথা বলার দায়িত্ব দিয়েছে নাকি, এমন প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ১৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত সফর করে আসলো। এধরনের সফরকে আমরা খুব ভালো মনে করি। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারা দেশে ফিরে এসব কী বললেন? ভারত নাকি বলেছে— বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না! কথাটার অর্থ কী? কেউ কী বলেছে যে, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে? আর উনাকে কী ভারত দায়িত্ব দিয়েছে, এই কথাটা বলার? এটা আমরা এপর্যন্ত বুঝতে পারি নাই। ভারতের পক্ষে উনাকে এই দায়িত্ব কে দিলো, তা আমাদের জানা নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে। কারণ, ভারতের পক্ষে কথা বলার অধিকার তো তাকে কেউ দেয়নি।’

এই সরকারের মনই নেই দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারছেন না। আমরা বারবার বলেছি, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। তার যেখানে ইচ্ছা সেখানেই চিকিৎসা করা হোক। আমাদের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা বলেছেন। কিন্তু এই সরকারের মন নেই। মানবতা আসবে কোথা থেকে? সবকিছু একদিকে ধাবিত। কী করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে। সবকিছুর মূলে একটা আছে যে, হেন-তেন করে আমাকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে।’

আজকে এদেশে সুশাসন বলতে কিছু নাই উল্লেখ করে ফখরুল আরও বলেন, ‘আমি আইনের শাসন বলি না, আমি বলি না কারণ, কারা করেছে এই আইন? কোন আইন? যে আইন সাধারণ মানুষকে রক্ষা করে না, যে আইন মানুষকে বিচার দেয় না, যে আইন মানুষের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে না এবং মিথ্যা কালাকানুন তৈরি করে, সেসব আইনকে তো আইন বলা যায় না। আজকাল যত আইন তৈরি করছে, সবকিছু তাদেরকে রক্ষা করতে পারে। তাদের দুর্নীতিকে রক্ষা করতে পারে। আইন করেছে বিদ্যুতের জন্য, কুইক রেন্টাল পাওয়ার হাউজ নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। তাদেরকে নিয়ে কোনও মামলা হবে না। প্রশ্ন করা যাবে না, যদি কোনও দুর্নীতি থাকে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here