জনগণের কাছে ভোট চেয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ব্লেম গেমে নেমেছে : শেখ হাসিনা

0
233

খবর ৭১ঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণের ভোট চেয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ব্লেম গেমে নেমেছে। তারা যখন দেখল যে জনগণের কাছে গিয়ে সাড়া পাচ্ছে না, তখন একটা ব্লেম গেম শুরু করল এবং হাতেনাতেই ধরা পড়ল।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ ছিল। তাই তারা তদন্ত করে বের করতে চাইল, কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ কথা বলেছেন।-খবর বাসসর।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া এলাকায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনী পথসভায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই বিএনপি নেতৃবৃন্দ পরস্পর যোগসাজশে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর একটি অডিও পুলিশের হাতে এসেছে (এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়)। যেখানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে কথোপকথনে ঘটনার জন্য নিজ দলের দুই নেতাকে দায়ী করেন।

এর পরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইখতিয়ার আলম জানান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটি জিনিস আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার চলছে। এরই মধ্যে তারা (বিএনপি) অভিযোগ করল, তাদের মিছিলে বোমা হামলার- এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যখন নির্দেশ দিলাম- হামলাকারী যে দলেরই হোক, যেই হোক তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, কারণ এটি আমরা চাই না। সবাই স্বাধীনভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচার চালাবে। আমরা সেই পরিবেশ কিন্তু বজায় রেখেছি।

তিনি বিএনপির শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বলেন, তখন আমরা দেখেছি যে কীভাবে আমাদের নির্বাচনের সময় বাধা দেয়া হতো। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, জুলুম করা হতো।

তিনি অভিযোগ করেন, আমরা এটিও দেখেছি যে, তারা (বিএনপি) ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুন করতে পারে, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতে পারে।

এ জন্যই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) মিছিলে তিনটা ককটেল ফুটল, পরে দেখা গেল তাদের নিজেদেরই ভাষায় বেরিয়ে এলো- এটি নিজেরাই করেছে। শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করার জন্য।

সরকারপ্রধান বলেন, তারাই ঘটনাটি ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে এবং সেটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি অভিযোগ করেন- বিএনপির এই অভ্যাসটি আছে- নিজেরাই বোমা মারবে, নিজেরাই গাড়ি ভাঙবে, তারপর অন্যের নাম দেবে। এই মিথ্যাচারে বিএনপির সঙ্গে কেউ পারবে না।

তারা একটা নাটক সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়- এটিই তাদের চরিত্র, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আরও বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করতে হবে। আর ২০১৪ সালের যে নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু আমরা বাস্তবায়ন করতে পারলাম সেটি পর্যালোচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি কাজ আমরা করেছি। আর আগামীতে বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে দেখতে চাই, তার প্রতিফলন থাকবে আগামী ইশতেহারে।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন। আর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। এ জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here