আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ পুলিশের মহা- পরিদর্শক (আইজিপি)- ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেছেন- পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের সেবাই পুলিশের ধর্ম। দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ। জঙ্গীবাদ-মাদক ও নাশকতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এটা প্রমাণ করার জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আমাদের বেশ কয়েকজন সহকর্মীসহ ১২জন নিরীহ নাগরিককে পুড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পেট্রোল-সন্ত্রাস ও আগুন সন্ত্রাস তারা যে সময় করেছিল আবারো এধরণের পরিকল্পনা করা হতে পারে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে। আবারো সেই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে। সুতরাং, পুলিশ যে কোনো ধরণের অপতৎপরতা, শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টা সর্বশক্তি ও সাহস-মেধা দিয়ে রুখে দেবে। তিনি উল্লেখ করেন, পলাশবাড়ি নবনির্মিত এ থানা ভবনটি সৌন্দর্য্যরে জন্য নয়, বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে নয়, অত্র এলাকার মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য, সাহায্য করার জন্য ভবনটি নির্মিত হয়েছে। আর কোন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
সোমবার সকালে (১ অক্টোবর) গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানার নব-নির্মিত বহুতল ভবনের শুভ-উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপার- প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া এমবিএ (আইবিএ)’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল মজিদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার- আব্দুল আলীম মাহমুদ, র্যাব-১৩ অধিনায়ক মোজাম্মেল হক পিপিএম, জেলা প্রশাসক- গৌতম চন্দ্র পাল ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন, গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল।
পরে প্রধান অতিথি (আইজিপি)- থানা চত্ত্বরে একটি পলাশ ফুলের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন।
খবর৭১/এসঃ