জগন্নাথপুরে মসজিদের গেইট ভাংচুরকালে গুলাগুলি গ্রেফতার-৪ :এলাকায় উত্তেজনা

0
448

মো: হুমায়ুন কবির, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের বুধরাইল গ্রামে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মসজিদের গেইট ভাংচুরের সময় গ্রামবাসী ৪ শ্রমিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় এলাকার চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আটককৃতরা হলেন চট্রগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ঘাটিয়া ডাংগা গ্রামের মৃত গোলাম নবীর পুত্র আহম্মদ মিয়া (৪৮), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার জোরহাইল গ্রামের মৃত সুরাব উদ্দিনের পুত্র আজিম উদ্দিন (২৭), একই উপজেলার বটতলা গ্রামের হাদিস মিয়ার পুত্র রানা আহমদ (২২) ও শিবপাশা গ্রামের হারাধন মিয়ার পুত্র কাজল মিয়া (২৩)। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের বুধরাইল গ্রামের হারুন মিয়া ও একই গ্রামের তারিফ উল্ল্যার পক্ষের লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মসজিদের গেইট নির্মানকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে।
এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তারিফ উল্ল্যার পুত্র আকবুল হোসেনের নেতৃত্বে ভাড়াটে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মসজিদের গেইট ভাঙ্গতে শুরু করে। এসময় হারুন মিয়ার পক্ষের লোকজন গেইট ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে মসজিদের সামনে আসা মাত্র সন্ত্রাসীরা পর পর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন চালিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। গুলির শব্দে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় গ্রামের লোকজন মসজিদের গেইট ভাঙ্গার সাথে জড়িত ৪ শ্রমিক আহম্মদ মিয়া, আজিম উদ্দিন, রানা আহমদ ও কাজল মিয়াকে আটক করে। এলাকাবাসী আরো জানান, মসজিদের গেইট ভাঙ্গার সময়ে বাধা দিলে হামলা চালিয়ে হারুন মিয়ার পক্ষের আনাছ মিয়া (১৮) ও রাজিয়া বেগম (৪০) আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আনাছ মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে মসজিদের গেইট ভাঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বুধরাইল গ্রামে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মঈন উদ্দিন মইন জানান, গেইট ভাংচুরকালে ৪জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here