প্রেম করে বিয়ে করায় মেয়ে পক্ষের হামলা লুট , ভয়ে বাড়ি ছাড়া সকলেই

0
273

স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ ছেলে প্রেম করে বিয়ে করায় মেয়ে পক্ষের সন্ত্রাসীদের তন্ডবে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। লুট করা হয়েছে গরু, স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা। সন্ত্রাসীদের অব্যহত হুমকির মুখে গোটা পরিবার এখন বাড়ি ছাড়া। শুধু তাই না ভুক্তভোগীরা আইনের সহায়তা নিতেও ভয় পাচ্ছে। গতকাল দুপুরে চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের গোকারন গ্রামের শুকুর আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার বড় ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪) শার্শা নুরমোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। লেখাপড়া করা কালিন একই গ্রামের আঃ জলিলের মেয়ে লাবনী খাতুনের সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় তারা পালিয়ে যেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই বিয়ে মেয়ে পক্ষ মেনে না নেয়ায় উভয় পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিরোধ। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের সমন্বয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যস্থ্যতায় ছেলে মেয়ে উভয়কে হাজির করে দ্ইু পরিবারের হেফাজতে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের বিয়ের বিষয়টি নিয়ে সেখানে কোন সমাধান হয়না। তারপরও উভয় পরিবার শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৮ নভেম্বর মেয়ে লাবনী খাতুন তার পিতার বাড়ি ছেড়ে আমার ছেলে আলমগীরের সাথে আবারও নিরুদ্দেশ হয়। তারা কোথায় আছে কেমন আছে তা আমাদের অজানা। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পিতা আঃ জলিল ক্ষিপ্ত হয়ে ২০/২৫ জনের এক সন্ত্র্রাসী দল নিয়ে আমার বাড়িতে হাজির হয়ে ছেলের মা সুফিয়া বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মারপিট করেই খ্যান্ত হয়নি, এ সময় বাড়ি থেকে বাছুরসহ একটি গাভী নিয়ে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। লুট করে নিয়ে যায় স্বার্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১টি বিদ্যুৎ চালিত মোটর। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষরা একটি দলের ছত্র ছায়ায় থেকে এই তান্ডব চালিয়েছে। তাদের ভয়ে আমরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিনা এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও আমরা ভয় পাচ্ছি। গোটা পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অশিক্ষিত মানুষ কোন দিন মোবাইল ব্যবহার করিনি। বর্তমান পরিস্থিতির কারনে আমার মোবাইল ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমি যে অভিযোগ করেছি তার চুল পরিমানও মিথ্যা নই, আমার জীবন চলে যাবে তারপরও আমি সত্য কথা বলে যাবো। এ সময় ছেলে আলমগীর হোসেনের মা সুফিয়া বেগম, মামা আকবর আলী, ফজলুর রহমান, কিরামত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খবর ৭১/ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here