খবর ৭১ঃছেলের তিন তালাকের পর পুত্রবধূকে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন এক ব্যক্তি।
গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে প্রেমনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
জানা গেছে, তালাকের পর ফের বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে সঙ্গমে বাধ্য করে ওই নারীর স্বামী। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে সুরখা রাজা চকের বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বেশ কয়েক বছর পর তার কোনো সন্তান না হওয়ায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার ওপর অত্যাচার করত।
২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে তিন তালাক দেয় স্বামী। দুস্থ পরিবারের মেয়ে কোথায় যাবেন বুঝতে না পেরে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অনুনয় করতে থাকেন। শেষে তাকে ফের বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন স্বামী।
কিন্তু তার জন্য শ্বশুরকে বিয়ে করতে হবে। কারণ নিকাহ জায়েজ না হলে দ্বিতীয়বার তার স্বামী তাকে বিয়ে করতে পারবেন না।
কিছুতেই তাতে রাজি হননি ওই নারী। কিন্তু এর জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এমনকি তাকে মারধর ও অনাহারে ঘরে বন্দি করে রাখা হতো।
পরে শ্বশুরের সঙ্গে নিকাহ জায়েজে বাধ্য হন তিনি। ১০ দিন পর শ্বশুর তাকে তালাক দিলেও ওই ১০ দিন একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
স্বামীর সঙ্গে ফের বিয়ে হলেও ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার তাকে তালাক দিয়ে দেন তিনি।
এবার দেবরের সঙ্গে নিকাহ জায়েজের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাতে রাজি হননি তিনি। থানায় অভিযোগ করেন।
এখন মা ও বোনের সঙ্গে থাকেন নির্যাতিতা। কারুশিল্পের কাজ করে দিনে ৫০ টাকা আয়ও করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই নারীর সাবেক স্বামী, শ্বশুর, ননদ ও দেবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।