খবর৭১ঃ বাংলা নববর্ষ- ১৪২৬ বরণ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত কনসার্টকে বাণিজ্যিক কনসার্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘ডাকসুর সঙ্গে এই বাণিজ্যিক কনসার্টের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। একই সঙ্গে ডাকসুকে কলঙ্কিত করতে এই নাম ব্যবহার না করারও অনুরোধ জানাই।’
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে তার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নয়। এই প্রোগ্রাম নিয়ে ডাকসুতে কোনো আলোচনাই হয়নি। ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে কনসার্ট নিয়ে যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে তা ঢাকতেই ডাকসুর নাম ব্যবহার করছে।
যদিও কনসার্ট উপলক্ষে ছাপানো পোস্টারে ছাত্রলীগের সঙ্গে ডাকসুর নামও আয়োজক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি পুরোপুরি জানি না। প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে কনসার্ট করা না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।’
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ঢাবির মল চত্ত্বরে বৈশাখী কনসার্টস্থলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির শীর্ষ তিন নেতা। এ সময় মঞ্চের পাশের সাউন্ড সিস্টেম ও প্যান্ডেলসহ স্টলগুলোতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় পুরো অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এরপর এর জের ধরে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আবারও কনসার্টস্থলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোজো কতৃপক্ষ কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেছে। এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তারা কনসার্টের সরঞ্জাম নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘এটা ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম। ডাকসুর হলে আমি জানতাম। তবে, ডাকসুর নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ কিছু করে তাহলে আর কিছু বলার থাকে না।’
নুর অভিযোগ করে বলেন, ‘এই কনসার্ট উপলক্ষে এক কোটি ২০ লাখ টাকা বাজেট হয়। মোজো কোম্পানিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এই কনসার্ট উপলক্ষে টাকা দেয়। ছাত্রলীগের নেতারা এই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে কোণঠাসা করতে প্রচার চালাচ্ছেন এটি ডাকসু ও ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম। অথচ ডাকসুতে এই প্রোগ্রাম নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন এবং কনসার্টের অন্যতম সমন্বয়কারী ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা আসিফ তালুকদারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি।