ছাত্রদের দিয়ে মাদক বানাতেন জাপানের এক অধ্যাপক!

0
260

খবর৭১ঃ ছাত্রদের দিয়ে এমডিএমএ নামক নিষিদ্ধ মাদক বানাতেন জাপানের এক অধ্যাপক। এক-দুইদিন নয়, গত ৬ বছর ধরেই এ কাজটি করে আসছিলেন তিনি।

এমন অভিযোগ এসেছে দেশটির পশিচমাঞ্চলের প্রদেশ শিককুর মাতসুয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিক্যাল সায়েন্স-এর অধ্যাপক তাতসুনোরি ইয়ামুরার (৬১) বিরুদ্ধে। খবর দ্য জাপান টাইমসের

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জাপানের গোয়েন্দা বিভাগ গোপন সূত্রে খবর পায়, মাতসুয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন সাবেক ছাত্রকে দিয়ে ওই অধ্যাপক সিন্থেটিক ড্রাগ এমডিএমএ তৈরি করছেন। ২০১৩ সাল থেকেই সাবেক ছাত্রদের দিয়ে এমডিএমএ তৈরি করাচ্ছিলেন তিনি। এ খবরের পর অধ্যাপক তাতসুনোরির গবেষণাগারে তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীদের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, এমডিএমএ নয় কিন্তু অন্য একটি মাদকের সন্ধান পেয়েছেন তারা অধ্যাপক তাতসুনোরি ইয়ামুরার ওই গবেষণাগারে।

তিনি যে মাদক তৈরি করছিলেন তা স্নায়বিক উত্তেজকবর্ধক মাদক বলে জানানো হয় তদন্ত রিপোর্টে। বিভিন্ন নাইটক্লাবের পার্টিতে এসব মাদকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জাপানে।

গোয়েন্দা বিভাগের এমন রিপোর্টকে স্বীকার করে অভিযুক্ত অধ্যাপক জানান, শিক্ষামূলক কাজের জন্য ওই মাদক বানানো হচ্ছিল।

যদিও এমন স্বীকারোক্তিতেও ফেঁসে যাচ্ছেন ওই অধ্যাপক। কেননা তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি না নিয়েই নিজের ল্যাবে ওই মাদক তৈরি করছিলেন। এছাড়াও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানাননি তিনি।

জাপানের আইন অনুয়ায়ী, শিক্ষামূলক কাজের উদ্দেশে কোনো নিষিদ্ধ মাদক তৈরি করতে হলে অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

অথচ তদন্তকারীদের কাছে কোনো অনুমতিপত্রই দেখাতে পারেননি ইয়ামুরা। বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যক্ষ তাতসুয়া মিজোগামি দেশটির গণমাধ্যমে বলেন, এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওইসব সাবেক ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অভিযুক্ত অধ্যাপক ঠিক কি উদ্দেশ্যে গোপনে তার গবেষণাগারে এই মাদক প্রস্তুত করছিলেন সে বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।

তদন্তকারীদের এক মুখপাত্র দ্য জাপান টাইমসকে জানিয়েছেন, শিক্ষামূলক না হয়ে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই নিষিদ্ধ মাদক তৈরি করছিলেন ইয়ামুরা, এমনটা প্রমাণিত হলে জাপানের আইন অনু্যায়ী তার ১০ বছরের জেল হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here