কাজীরহাট (বরিশাল) প্রতিনিধি :
বিএনপির কর্মসূচী কালো পতাকা মিছিল থেকে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা এবং বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা-কাজীরহাট অঞ্চলের প্রিয়মুখ মোঃ হুমায়ুন কবির জামিনে মুক্ত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং বিএনপির কর্মসূচী কালো পতাকা মিছিল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আর ২০ এপ্রিল ২০১৮ ইং কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন। কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির নিজে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে, তিনি জেলে থাকা অবস্থায় যারা তার খোজ-খবর নিয়েছেন এবং চেষ্টা করেছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। আর তিনি যাতে দলের জন্য আরও কাজ করতে পারেন এজন্য সকলের দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেছেন।
এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিহিংসার বিচারে বন্দী; গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক, মাদার অব ডেমোক্রেসি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল ষড়যন্ত্রমূলক-মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধের সকল মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি। এছাড়াও অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি করছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ বন্দীদশা থেকে মুক্তি চায়। বাংলাদেশের মানুষের ধর্যের সীমা রয়েছে। তাই আমাদের শান্তি প্রিয় আন্দোলন পর্যায়ক্রমে গণআন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। যা অতীতে এ দেশে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে। এ জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে। আর খুব শীঘ্রই দেশের মানুষ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাবে। আর যারা দলকে ভালোবাসে তারা দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর অন্তরে বেঁচে থাকেন। দলে ত্যাগীদের মৃত্যু নাই। তাই ত্যাগী ও সংগ্রামীদের পথ অনুসরণ করে প্রতিটি নেতাকর্মীকে দলের জন্য কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে, তিনি আরও বলেন, পুলিশি রিমান্ডে নির্মম নির্যাতনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি তার পরিবারের। আমি এর সাথে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তি দাবি করছি। আর মরহুম জাকির হোসেন মিলনের বিদেহী রুহের মাগফেরাত কামনা সহ তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি, আমিন।
খবর ৭১/ এস: