ছাতক সিমেন্ট কারখানা আড়াই কোটি টাকার সিমেন্ট জালিয়াতি

0
281

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক,সুনামগঞ্জঃ
ছাতক সিমেন্ট কারখানা থেকে জালিয়াতিরমাধ্যমে আড়াই কোটি টাকার সিমেন্ট উত্তোলনকারী কারখানার ডিলার
রুবেল মিয়াকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে রিমান্ড শেষে
সুনামগঞ্জ-জেল হাজতে পাঠানো হয়। রিমান্ডে বেশ কিছু চা ল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ
সুত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম
মজুমদারের আদালতে ছাতক থানার ওসি (অপারেশন) কাজী গোলাম মোস্তফা ৩ দিনের
রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত তার ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে আড়াই কোটি
টাকা মুল্যের সিমেন্ট জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টিজ
(বিসিআইসি) ভবন থেকে ছাতক সিমেন্ট কারখানার ৭ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অবহেলা ও
গাফিলতির বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের
দায়িত্বে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে জালিয়াতিতে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট
ব্যাংকের তথ্যাদিসহ কারখানার সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রুহুল
আমিন, জিএম(ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী আবু সাঈদ, সাবেক জিএম(ভারপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত
প্রধান প্রকৌশলী নেপাল কৃষ্ণ হালাদার, উপ- মহাব্যবস্থাপক আব্দুল বারী, উপ-প্রধান হিসাব
রক্ষক সিরাজুল ইসলাম, সহ-প্রধান হিসাব রক্ষক আতিকুল হক ও হিসাব কর্মকর্তা
রেজাউল করিমকে,নোটিশ প্রদান করে ১০দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য মেসার্স সম্পা এন্ড সন্স এবং হানিফ এন্টাপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের
স্বত্বাধীকারী রুবেল মিয়া ২০১৭ সালে পূবালী ব্যাংক ছাতক সিমেন্ট কারখানা শাখার
কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ৮টি ভূয়া ক্রেডিট ভাউচার জমা দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে
রুবেল মিয়া ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সিমেন্ট উত্তোলন করে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে
ব্যাংক ষ্টেইটমেন্ট সংগ্রহ করা হলে হিসেবের আকাশ-পাতাল গরমিল ধরা পড়ে। এছাড়াও
জালিয়াত রুবেল মিয়া রাজধানী ঢাকা রূপালী ব্যাংক কাপ্তান বাজার শাখার সাবেক ম্যানেজার
মাসুদুর রহমান ও কর্মকর্তা বিকাশ দত্তের যোগসাজসে ২কোটি টাকার ভূয়া ব্যাংক
গ্যারান্টি সনদে জালিয়াতির মাধ্যমে ১কোটি ৬০লাখ ৯৫হাজার টাকার সিমেন্ট উত্তোলন
করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। জালিয়াতির বিষয়টির ২০১৭ সালের ২৫ড়িসেম্বর
ছাতক সিমেন্ট কারখানা থেকে বিসিআইসির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানানো হয়।
২০১৮সালের ৩ জানুয়ারী ৩৭৭তম সিসিসিএল এন্টারপ্রাইজ বোর্ড সভায় অর্থ আতœসাৎ ও
জালিয়াতির বিষয়টি উপস্থাপন করেন সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই সভায় শিল্প
মন্ত্রনালয়ের একজন উপ-সচিব ও বিসিআইসি প্রধান কার্যালয়ের দু’জন কর্মকর্তা সমন্বয়ে
একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। পরবর্তীতের গঠিত ওই তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তে জালিয়াতির
বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সিমেন্ট ডিলার রুবেল মিয়ার
বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ২কোটি ৫৩লাখ ৪৫হাজার টাকা আতœসাতের অভিযোগে ছাতক
থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। জালিয়াতির ঘটনার প্রায় ৯মাস পর কারখানার
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপক, প্রশাসনেঅতিরিক্ত ব্যবস্থাপক, প্রশাসনের বিভাগীয়
প্রধান রেজাউল করিম বাদী হয়ে থানায় ওই দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটির একটিতে
সিমেন্ট ডিলার রুবেল মিয়া ছাড়াও রূপালী ব্যাংক ঢাকা কাপ্তান বাজার শাখার সাবেক
ম্যানেজার মাসুদুর রহমান ও একই শাখার সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা বিকাশ দত্তকেও আসামী
করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম
মজুমদারের আদালতে ছাতক থানার ওসি (অপারেশন) কাজী গোলাম মোস্তফা ৩ দিনের
রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত তার ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা ছাতক থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী গোলাম মোস্তাফা জানান,
চা ল্যকর এ মামলায় আসামী রুবেলের কাছ থেকে সিমেন্ট জালিয়াতির অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here