হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ছাতকে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে শহরবাসী। লোড শেডিংয়ের নামে প্রতিদিন অন্তত শতাধিক বার বিদ্যৎ আসা-যাওয়া করে। সকাল-সন্ধ্যা, নামাজ, ইফতার, সেহরীর মত স্পর্শ কাতর সময়ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে-অনিচ্ছেয় চলেছে এখানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কয়েক লক্ষ গ্রাহকের দুর্ভোগের বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মোটেই আমলে নিচ্ছেন না। ঘন-ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ঘটনায় শহরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা। বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজি একমাস ধরে চলে আসলেও প্রথম রোজা থেকে এর ভয়াবহতা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। সারাদিন ঘন-ঘন বিদ্যৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলে ইফতারের আগে ও পরে এর তীব্রতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে। রোববার ইফতারের আগে ও পরের আধ ঘন্টায় অন্তত ২০বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। প্রচন্ড গরমে ঘন-ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এখন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে শহরবাসী। ঘন-ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টি তাৎক্ষনিক জানারও উপায় থাকে না। প্রায় সময়ই প্রকৌশলীসহ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কত সময়ের মধ্যে আবার বিদ্যুৎ পাবে এ বিষয়টি জানারও কোন উপায় থাকে না গ্রাহকদের। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, বর্তমানে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সেবাকে গুরুত্ব না দিয়ে দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছেন। ছোট-ছোট মিল-কারখানা, ওয়াশিং মেশিন ও ক্রাসার মিলে অবৈধ সংযোগ দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অবৈধ পন্থায় অর্থ রোজগারে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রায় বছর খানেক আগে শহরের একটি ব্যাংকে বৈধ সংযোগ দিতে গিয়ে মাত্রাতিরেখ ঘুষ দাবী করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অভিযোগে বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে বিদ্যুতের সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, কোম্পানীগঞ্জের লাইন ট্রায়েল দেয়ার সময় যান্ত্রীক ক্রুটির কারনে কয়েকদিন ধরে লাইনে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা কাটিয়ে স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।