ছাতকে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতায় ফাইল বন্দি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ

0
316

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের ছাতকে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ের অভাবে প্রায় কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ফাইল বন্দি হয়ে আছে লাল ফিতায়। উন্নয়ন কাজের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হলেও টাকা বরাদ্ধ না পাওয়ায় উন্নয়ন কাজ করতে পারছেন না স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানরা। ফলে এখানের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিরাজমান সমন্বয়হীনাতার দূরত্ব আরো প্রকট আকার ধারন করছে। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সমন্বয়হীনতায় এখানের গ্রামীণ জনগোষ্ঠি বি ত হচ্ছে তাদের কাংখিত উন্নয়ন হতে। জানা যায়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়নে বছরের শুরুতেই এডিপি ফান্ডের প্রায় ৯৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় এখানে। সম উন্নয়নের স্বার্থে প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্প জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয় উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা থেকে। প্রায় চার মাস আগে প্রত্যক ইউপি চেয়ারম্যান স্ব স্ব ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্প উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে জমা দেন। প্রকল্প অনুযায়ী পকেটের টাকা খরচ করে প্রকল্পের কাজ শুরুও করেছেন বলে কোন কোন চেয়ারম্যান দাবী করছেন। এদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে ১৯ এপ্রিল সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ব্যাপারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এডিপি ফান্ডের ৯৭ লক্ষ টাকা উন্নয়নের ভিত্তিতে ১৩টি ইউনিয়নের অনুকুলে বন্টন করা হয় সর্ব সম্মতিক্রমে। কিন্তু বরাদ্ধকৃত এডিপি ফান্ডের টাকা বন্টনের এক মাস অতিক্রান্ত হলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সব কিছুই এখন ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে। ফলে সরকারের মেয়াদের প্রায় শেষের দিকে গ্রামীন জনগোষ্ঠি তাদের ন্যায্য উন্নয়ন থেকে বি ত হচ্ছেন। সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রত্যেক চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছেন প্রায় ৪ মাস আগে। বরাদ্ধ পাওয়ার আগেই কয়েকজন চেয়ারম্যান কাজও করিয়েছেন বলে দাবী করেছেন। উপজেলা পরিষদ নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে পরিষদের সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে এডিপি ফান্ডের এ টাকা বন্টন করা হয়। কিন্তু পরিষদের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নিজ ক্ষমতাবলে কোটি টাকার এ উন্নয়ন কাজ আটকে রেখেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া জানান, জন প্রতিনিধিদের সমন্বহীনতার কারনে উন্নয়ন কাজটি আটকে আছে। বিশেষ করে এমপির সাথে ৫ চেয়ারম্যানের বিরোধের কারনেই আপাদতঃ কাজটি আটকে আছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বিষয়টি নিস্পত্তি হবে বলে তিনি আশাবাদী। উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল জানান, এমপি মহোদয় ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে উন্নয়ন কাজটি আটকে রেখেছেন। পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে পরিষদের সভায় উপদেশ দেয়ার অধিকার রয়েছে এমপির। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার শুধু মাত্র উপজেলা পরিষদের। দেশের বাইরে থাকায় এমপির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।##

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here