ছাতকে চরমহল্লা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা

0
309

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকের চরমহল্লা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি অযত্ন    অবহেলায় রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নজরদারী নেই বললেই চলে। দায়িত্বরতদের কর্তব্য কাজে চরম অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (০১.১০.২০১৮ইং) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চরমহল্লা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি অযত্ন      অবহেলায় ঠাঁয় দাড়িয়ে রয়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই- ? সকাল সাড়ে ১১টায় কল্যাণ কেন্দ্রটির দরজা তালা বদ্ধ পাওয়া যায়। আশপাশ এলাকায় ১০-১২জন নারী পুরুষ সমবেত দেখে এ প্রতিনিধির  সাথে আলাপকালে চরমহল্লা ইউনিয়নের ছিক্কা নিবাসী বুরহান উদ্দিন(৫০), নানকার নিবাসী আব্দুল মোমিন (৬৫), শাখাইতি নিবাসী আলী হুসেন (৪০) জানান আমরা দূর-দূরান্ত গ্রাম থেকে এসেছি চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহনের জন্য। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় সংশ্লিষ্ট কাউকে না পেয়ে  নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। অনুরুপ ৮-১০ মহিলা ও শূন্য হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে। জরাজীর্ণ একটি ভবনে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে সাজির উদ্দিন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা (ভিজিটর) আয়েশা হারুন আশা ও আয়া পদে স্বপ্না রানী কর্মরত থেকে দায় সাড়াভাবে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করার খবর পাওয়া গেছে। কল্যাণ কেন্দ্রটির সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। গ্রামীণ কিছু লোকজন এটিকে তাদের পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। সংলগ্ন বাড়িঘরের লোকদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, মাঝে মধ্যে এখানে কর্মরতদের আশা-যাওয়া করতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি বর্তমানে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রয়েছে।এখানে রাতের আধারে এলাকার কিছু বখাটে লোকজন নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটি অযত্ন অবহেলার দরুন গ্রামীণ এলাকার লোকজনকে সেবা দিতে পারছে না। এতে সরকারের সফলতা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে চরম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হুসিয়ার আলীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, এলাকার লোকজন এ প্রতিষ্ঠান থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা।ইউপি সচিব মাসুক মিয়া জানান, প্রায়ই এলাকার লোকজন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মরতদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আমাদেরকে অবগত করেন । এ ব্যাপারে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা (ভিজিটর) আয়েশা হারুন আশা’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সপ্তাহে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে দায়িত্ব পালন করি। সোমবার অফিস কাজে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এসেছি।কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাজির উদ্দিনের সাথে এ প্রতিনিধির আলাপকালে তিনি জানান, আমাকে দুটি ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এখানে সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার দু’দিন দায়িত্ব পালন করি। সোমবার অগ্রিম কর্মসূচী জমা দেয়ার জন্য উপজেলা শহরে এসেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) সাথে বারবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এলাকার ভূক্তভোগী জনগনের করুন আর্তনাদ পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনেরও দাবী জানিয়েছেন।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here