ছাতকে একটি পরিবারের জন্য সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকায় সরকারী ব্রিজ!!

0
400

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ছাতকে নির্মিত একটি ব্রিজ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। শুধু বাড়ির একটি পরিবারের লোকজনের যাতায়াত সুবিধার জন্য এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে এলাকার লোকজন মন্তব্য করছেন। তারা অভিযোগ তুলেছেন, ব্রিজ নির্মাণের নামে অনিয়ম ও দূর্নিতীর মাধ্যমে সরকারের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত করাই ছিল এ প্রকল্পের মুল লক্ষ্য। সম্প্রতি ওই ব্রিজটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও ব্রিজের চিত্রসহ স্ট্যাটাস দিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে বিভিন্ন আইডিতে। ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে সাধারন মানুষের অভিযোগ হল, উপজেলার অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে একটি ব্রিজের জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সহজভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। অনেক গ্রাম, পাড়া-মহলা রয়েছে যেখানে একটি ব্রিজের জন্য দিনের পর দিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামবাসী। অনেক জনগুরুত্বপূর্ন স্থান রয়েছে যেখানে দিনের পর দিন মৌখিক-লিখিত দাবী করেও ব্রিজ আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন সচেতন মহল। কিন্তু একটি পরিবারের গোটা কয়েক মানুষের জন্য ব্রিজ নির্মার্ণ করার পিছনে কি উদ্দেশ্য ছিল, কার স্বার্থে, কেন সরকাররের(জনগনের) মোটা অংকের অর্থ নষ্ট করা হয়েছেÑএ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খা”েচ্ছ ফেইসবুক আইডিতে। জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রান ও পূনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের ব্রিজ-কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের নাইওর মিয়ার রাড়ির রাস্তায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৩৪ ফুট দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মাণ করতে সরকারের ২৭ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা হলেও ব্রিজের উভয় পার্শ্বের এপ্রোচ রোড ভরাট না করেই ব্রিজ হস্তান্তর করে ঠিকাদার। গত বছরের ১২ জুলাই উপজেলার ইপিজিপি, কাবিটা ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। পরিদর্শনকালে ছাতক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহিদুজ্জামানসহ লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনের পরের দিন ১৩ জুলাই অন্যান্য কাজের প্রতিবেদনের সাথে ব্রিজের উভয় পার্শ্বের এপ্রোচ রোড মাটি ভরাট করার জন্য সংশিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও ব্রিজের এপ্রোচ রোডে মাটি ভরাট করা হয়নি। স্থানীয় একাধিক লোক জানান, সরকারী টাকা হরিলুটের একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে নাইওর মিয়ার বাড়ির রাস্তার ব্রিজ। এ ব্রিজটি দূর্নীতি ব্রিজ বলেও অনেকে মন্তব্য করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল জানান, সরকারের টাকা জনস্বার্থে ব্যবহার না হয়ে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার হোক এটা কারো কাম্য নয়। প্রকল্পের ব্রিজ নির্মানের জন্য সাইড সিলেকশনে ছিলেন এমপি মহোদয়। এখানে ব্রিজ নির্মাণ কতটুকু গুরুত্ব রয়েছে তা এলাকার সচেতন মহল ও গনমাধ্যম কর্মীরাই বিবেচনা করবেন। সর্ব ক্ষেত্রে সরকারের টাকা জনস্বার্থে ব্যবহার হোক এটাই সবার সাথে তিনি কামনা করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী আম্বিয়া আহমদ জানান, ব্রিজটি পূর্বের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছে। জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তাও ব্রিজটি পরিদর্শন করেছেন। ##

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here