চড়ারহাটে গনহত্যা দিবস আজ

0
310

মোঃ আবু সাঈদ, বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ চড়ারহাট গনহত্যা দিবস ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর এই দিনে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন নবাবগঞ্জ উপজেলার চড়ারহাট নামক স্থানে গুলি করে হত্যা করেছে শতাধিক নিরীহ সাধারন মানুষকে। গনহত্যার কথা ঐ এলাকার মানুষ এখন ভুরতে পারে নাই অক্টোবর মাস এলেই এখান কার আকাশ বাতাস পশুপাখি গাছপালা কাঁন্নায় ফেটে পড়ে ১০ অক্টোবর স্বরনে চড়ারহাট গনহত্যা দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করে আসছে।
১০ অক্টোবর বুধবার দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার চড়ারহাট বাজারে গিয়ে এলাকাবাসির কাছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, শহীদ আলতাবের ছেলে আতিয়ার রহমান জানান, ফুলবাড়ি পার্বতিপুর নবাবগঞ্জের পুটিমারা প্রানকৃষœপুর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময় পাকহানাদার বাহীনিরা সাধারন নারী পুরুষকে ভোর রাতে ফযরের নামাজের সময় ভেঙ্গে পড়া বিরিজটি নির্মান করার কথা বলে ডেকে নিয়ে একত্রিত করে সারিবদ্ধ ভাবে নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালাই। এসময় ১১ জন ব্যাক্তি আহত হয়ে ভাগ্য ক্রমে বেঁচেযান। প্রত্যেক শহীদের লাশ চিন্নিত করা না গেলেও ৯৮ জনের লাশ সনাক্ত করা হয়েছিল চড়ারহাট প্রানকৃষœপুর এবং আন্দোলগ্রামের সারাইপাড়া সনাক্ত ছাড়া সেইদিন মোট শহীদের সংখ্যা ছিল ১৫৭ জন বলে এলাকাবাসির দাবি। সেইসব শহীদের স্বরনে তাদের আতœার মাগফেরাত কামনা করে প্রতি বছর এই দিনে মিলাদ মাহফিল,দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে বলে জানান।
তারা আরো জানান,স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ২০১১ সালে ঐ সময়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বর্তমার সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার ফোরাম জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কৃষক নওশের আলীর দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে একমাত্র চড়ারহাট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। উক্ত এলাকার সর্বস্থলের সচেতন মহলের দাবি ঐ দিনে নিহতদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতী প্রদান এবং যথাযত মর্যাদায় পূর্নবাসন করা আহতদের যোদ্ধাহত স্বীকৃতি দিতে হবে।
শহীদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এলাকাবাসি চড়ারহাটে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ও শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রসঙ্গত সেই সময় আহত দের মধ্যে চড়ারহাটের শহীদ ডাঃ এহিয়া মন্ডলের পুত্র হোমিও ডাক্তার এমদাদ জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ কালিন সময় ৯ অক্টোবর বিরামপুর উপজেলার বিজুল আলতাদিঘি নামক স্থানে গরুর গাড়িতে করে কয়েক জন খান সেনা বিরামপুর ক্যাম্পে যাওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধারা অর্তকিত হামলা করে ৭ জন খান সেনাকে হত্যা করে। খান সেনাদের সাথে দুইজন রাজাকারও ছিল। ঐ দুইজন খান সেনাদের হত্যার খবর বিরামপুর ক্যাম্পে জানায়। খবর পেয়ে ক্যাম্প কমান্ডার একজন মেজর প্রতিসোধ নিতে হিং¯্র হয়ে তার সৌনিকদের নিয়ে ৯ অক্টোবর রাতেই পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট প্রানকৃষœপুর,আন্দোলগ্রাম সরাইপাড়া ঘেরাও করেন। ১০ অক্টোবর ভোর রাতে ঐ গ্রামের সাধারন মানুষদের কাজ করার কথা বলে চড়ারহাট গ্রামের উত্তর পূর্ব কন্নারে সমবেদ করে। তাদের সকরকে সারিবদ্ধ করে দাড় করিয়ে র্নিবিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, তবে তাদের মধ্যে দুইজন মহিলা ছিল। সব শেষে জানাযায় দুইজন মহিলাসহ ১৫৭ জন নিহত হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here