চৌগাছা-যশোর সড়কের দশ কিলোমিটার সড়ক জুড়েই ভাঙ্গাচোরা, জনদুর্ভোগ চরমে

0
505

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলার অধিকাংশ সড়কের চরম বেহালদশার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার বা পুনঃনির্মান না করার ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার যে সব সড়ক সংস্কার করা হয়েছে সেখানে শুভংকারের ফাঁকি দেয়া হয়েছে। যার কারনে সড়কগুলোর উপর পিচ, ইট ,খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। অসহোনীয় কষ্ট আর দুর্ভোগ নিয়ে মানুষ চলাচল করছেন এসব সড়ক দিয়ে। বিশেষ করে চৌগাছা-যশোর সড়কের সলুয়া বাজার পর্যন্ত দশ কিলোমিটার সড়কের চরম বেহালদশা। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ জনপদের মানুষ।
সূত্র জানায়, যশোরের চৌগাছা ভারত সীমান্তের গা ঘেষে গড়ে উঠা একটি উপজেলা। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসবাস। অত্র উপজেলার পাশ্ববর্তী রয়েছে ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালিগঞ্জ, যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা, বেনাপোল ও যশোর সদর উপজেলা। দৈনন্দিন কাজে মানুষ এ সব সড়ক ব্যবহার করেন। উপজেলা সদর থেকে অন্য উপজেলার সাথে সংযোগ সড়কের অবস্থা কিছুটা ভাল হলেও চৌগাছা-যশোর সড়কের চরম বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা সদর হতে সলুয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের উপর পিচ ইট খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। যার ফলে সড়কে চলাচলরত সব ধরনের যানবাহন প্রতি দিনই দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ কিছু দিন আগে সড়কটির উপর নতুন করে পিচ দিয়ে মেরামত করা হয়। কিন্তু যথাযথ ভাবে এই কাজ সম্পন্ন না করার ফলে মাস না যেতেই গোটা সড়কই তার পুরোনো চেহারায় ফিরে গেছে। চৌগাছা উপজেলা সদর হতে যশোরের কোতয়ালী উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ ১৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে কোতয়ালী উপজেলার মধ্যে অবস্থিত ৭ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের উপযোগী থাকলেও চৌগাছা উপজেলা পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা চরম ভয়াবহ। অন্তত দশটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। এর মধ্যে চৌগাছা হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক, কড়াইতলা, কয়ারপাড়া বাজার, সিংহঝুলী খাঁবাড়ি মোড়, মল্লিকবাড়ি, মুক্তিনগর, নিমতলা বাজার, আফরা মোড় হতে সলুয়া কলেজ পর্যন্ত সড়ক উল্লেখযোগ্য। সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, পথচারীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, চৌগাছা-যশোর সড়কটির গুরুত্ব সবার উর্ধে। কেননা এই সড়কটি জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বছরের পুরো সময় ধরেই চলাচলের অনুপযোগী থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি হচ্ছে তুলনা মুলক অনেক সরু তার উপর ভাঙ্গা চোরা কিভাবে মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করবে। নানা কারনে চৌগাছা উপজেলা আজ দেশের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। যার করনে দেশের অন্য সব প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসছেন ব্যবসা বানিজ্যসহ নানা কাজে। তারা যশোর পর্যন্ত ভাল ভাবে আসতে পারলেও চুড়ামনকাটি বাজার পার হয়েই পড়েন চরম বিপাকে। সূত্র জানায়, সময়ের ব্যবধানে সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষনা ও বীজ বর্ধন খামার, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গামেন্টস শিল্পের মত বড়শিল্প কলকারখানা, সুবিশাল দুটি কোল্ড ষ্টোরেজ। দেশ সেরা মডেল হাসপাতাল তাও চৌগাছাতে। নানা কারনে এ জনপদের মানুষ চৌগাছা-যশোর সড়কটি ব্যবহার করেন। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটির বেহালদশার ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে সব শ্রেনী পেশার মানুষের। সড়কটির এই বেহালদশার কারনে ব্যবসা বানিজ্যেও দেখা দিয়েছে মন্দাভাব এমনটি মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। চৌগাছার সার্বিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে অতি দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পুনঃনির্মানের দাবি করছেন এ জনপদের সর্বস্তরের মানুষ।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here