চৌগাছা বিএনপির মধ্যে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করলেও উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা

0
289

স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উজ্জিবিত সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছা বিএনপি। কিন্তু শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের ভিতর থেকে এখনও পর্যন্ত ভীতি কাটেনি । মামলায় জর্জিরত এ সব নেতাকর্মীদের মাঝে সব সময় অজানা এক আতংক বিরাজ করছে। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত্বব্য বহুল কাংখিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও ভয়ভীতির উর্দ্ধে রেখে সম্পন্নের জন্য সংশিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বহু কাংখিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর চৌগাছার মানুষ তার নিজের ভোটটি পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারবে এই আশায় বুক বেঁধেছে। বিশেষ করে উপজেলা বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝে অন্য ধরনের এক ইমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে সীমান্তবর্তী উপজেলার মানুষ নানা কারনে চরম এক দূর্বীসহ জীবন যাপন করে আসছে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ কোন অপারাধ না করেও হয়েছেন একের অধিক মিথ্যা মামলার আসামী। এ সব মামলায় অনেকে জেলের ঘানি এখনও টানছেন, অনেকে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে মামলা থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আছেন। অবার অনেকে আজও রয়েছেন বাড়ি ছাড়া। এ সব নির্যাতিত পরিবার কাছে আগামী নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করছেন। স্বরুপদাহ ইউনিয়ন বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত ১০ বছরে আমার ইউনিয়নের ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত একের অধিক সাজানো মামলার আসামী হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন। আমি নিজেও অনেক গুলো মামলার আসামী। একের পর এক মামলার আসামী হওয়ায় পারিবারিক ও আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। তাই আগামী নির্বাচনকে আমরা নিজেদের সুন্দর ও সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকার নির্বাচন বলে মনে করছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা এবং আমার দল তথা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এই খবরে সকলের মধ্যে আনন্দভাব দেখা দিয়েছে, উজ্জ্বিবিত হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু আজও পর্যন্ত নেতাকর্মীর মধ্য থেকে ভীতি কাটেনি। কেননা গত ১০/১২ বছর জীবনের সব থেকে কষ্টদায়ক একটি সময় মানুষ পার করেছেন। সেই সব কথা যখনই মনে উঠছে তখনই সবাই ক্ষনেকের জন্য শান্ত হয়ে যাচ্ছে। নানা কারনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝ থেকে ভয় যেন কাটছেনা। হাকিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে উজ্জিবিত বিএনপি তথা এ অঞ্চলের সাধারণ ভোটাররা। সকল মানুষের একটিই দাবি ভয় না আনন্দঘন পরিবেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বর যেন ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি। উপজেলা বিএনপির এক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, সব নেতাই নাম প্রকাশ না করেই পত্রিকায় তাদের বক্তব্য দিচ্ছেন এটিই প্রতিয়মান হয় মানুষ কতটা ভয়ে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আমার দল আন্দোলনের অংশ হিসাবেই অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া মানে হচ্ছে গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসা। যত ভয়ভীতি থাকুক না কেন আমরা নির্বাচনে আছি এবং মানুষের ভাল ভাসায় আমরা অবশ্যই জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ। তবে নেতাকর্মীদের মাঝে যে ভয়ের আবহাওয়া বিরাজ করছে সেটি দুরিকরনে নির্বাচন কমিশনকে এখনই কাজ করতে হবে। ভয়ভীতিমুক্ত একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আরও শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, অংশ গ্রহনমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোটারদের মাঝ থেকে ভয়ভীতি দুরীকরনে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। যাতে করে শুধু বিএনপি না সাধারণ ভোটাররা সব কিছুকে উপেক্ষা করে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সেই কাজটিই এখন জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here