মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) :যশোরের চৌগাছার চান্দাগা গ্রাম থেকে একটি মেছবাঘ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি বিরল প্রজাতির এই মেছোবাঘকে মারপিট করে রক্তাত্ব জখম করেছে। শুক্রবার দুপুরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাঘটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় উৎসুক জনগন বাঘটি দেখার জন্য থানাতে ব্যাপক ভিড় করেন। বিকালে আঘাতপ্রাপ্ত এই বন্য প্রানীটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানান, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের চান্দাগা গ্রামের মাঠের মধ্যে কড়াই গাছে মেছোবাঘটি এক ব্যক্তি বসে থাকতে দেখেন। পরস্পর বিষয়টি জানাজানি হলে আশেপাশের মানুষ দেখতে গাছের নীচে ভীড় করে। এ সময় বাঘটি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। উৎসুক জনতা বাঘটিকে লক্ষ্য করে ইটের টুকরো, ঢিল ছুড়তে থাকে। একপর্যায় ওই বাঘটি প্রাণ রক্ষার জন্য গাছ থেকে লাফিয়ে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অতিউৎসাহী মানুষ বাঘটির পিছু ধাওয়া করে লাঠি, ইট, ঢেলা দিয়ে মেরে রক্তাত্ব জখম করে। এ বিষয়টি জানতে পেরে ফুলসারা ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার এ এস আই কুদ্দুস ও এ এস আই শাহীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঘটি উদ্ধার করে একটি খাচায় করে থানায় নিয়ে আসেন। বাঘটি থানায় আনা হলে উৎসুক জনতা দেখার জন্য ব্যাপক ভিড় করেন। বিকালে মেছোবাঘটি পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে। বিজ্ঞ আদালত বন্যপ্রাণি সংরক্ষন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে বলে সূত্র জানায়। এ বিষয়ে এ এস আই কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঘটি আহত হয়েছে। একটি জিডি নোট করে আদালতে আমরা প্রেরণ করেছি। আদালত সিদ্ধান্ত করবে বাঘটি কি করা হবে। এদিকে এলাকাবাসির অনেকে জানান, বাঘটি মেছোবাঘ। এরা রাতে বিভিন্ন জলাশয়, পুকুরে ধার দিয়ে মাছ শিকার করে। এছাড়া ছোটখাট পোকামাকড়, সাপ ও প্রাণি খাই। অনেকে বলেন বাঘটি মারপিট করে আহত করা ঠিক হয়নি। বাঘটি বিরল প্রজাতির। আমরা আগে কখনো দেখিনি। কারা এই বাঘটি পিটিয়েছে জানতে চাইলে তা কেউ বলতে চাইনি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরী বলেন, বন্যপ্রাণি মারা আদৌ উচিৎ না। বন্যপ্রাণি সংরক্ষনের জন্য আইন আছে। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন খবরটি জেনেই আমি কষ্ট পেয়েছি। পুলিশকে খবর দেবার পর তারা বাঘটি উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
খবর ৭১/ এস: