-
স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত আট জন বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার রাতে ও সোমবার দিনে বিভিন্ন গ্রাম এলাকা থেকে তাদের আটক করে ওই দিনই আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুল কুদ্দুস। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রেফতার অব্যহত থাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঝে। গনগ্রেফতারে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি আটক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, সোমবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকা থেকে অন্তত আটজন বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবারই তাদের নাশকতা ও নৌকা পুড়ানো মামলার আসামী করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, বিএনপি নেতা পুড়াপাড়ার এমএম মিলন, হাজরাখানা গ্রামের হাফিজুর রহমান হাফি, ইকবাল হোসেন, মাঠচাকলা গ্রামের জাহিদুর রহমান, স্বর্পরাজপুর গ্রামের আবু সাঈদ,আবু বক্কর, আসাদুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার হাজরাখানা গ্রামে নৌকা প্রতীকে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সোলাইমান হোসেন সংশ্লিষ্ঠ থানায় একটি অভিযোগ করেন। বিএনপি জামায়াতের দাবি সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিএনপি জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে হাজারাখানা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গ্রামটিতে আওয়ামীলীগের বিবাদমান গ্রুপিং দীর্ঘ দিনের। এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ঘায়েল করার লক্ষে এই জঘন্য কাজটি করে থাকতে পারে। যে নৌকা প্রতীকে আগুন দেয়া হয়েছে তা সোলাইমান গ্রুপের লোকজানের উঠানো নৌকা। এ কারনে সোলাইমান থানায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হচ্ছে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের। নৌকা পুড়ানো মামলার পাশাপাশি নাশকতা মামলায়ও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে আটক ভয়াবহ আকার ধারন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নির্বাচনের আগেই নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।