মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের চৌগাছায় মানষিক প্রতিবন্ধি স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে খবর পাওয়া গেছে। গর্ভের সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে সমাজপতিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কোন ফল না পেয়ে ভূক্তভোগী ওই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। রবিবার দুপুরে ওই নারী আবেদন করেন। ভুক্তভোগী নারী চৌগাছা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জিওলগাড়ি বেলেমাঠ গ্রামের মৃত দাউদ বিশ্বাসের মেয়ে আয়েশা বেগম (৩০)।
অন্তঃসত্তা ওই নারীর ভাই ছমির উদ্দিন বলেন, আমার বোনটি মানষিক প্রতিবন্ধী। এ কারনে বিয়ের পরপরই তাকে তালাক দিয়ে স্বামী চলে যায়। আমাদের মত বোনটিও দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং বাড়িতে আলাদা একটি ঘরে থাকে। একই মহল্লার মৃত সমশের বিশ্বাসের ছেলে ৩ সন্তানের জনক জালাল উদ্দিন (৩৮) ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় রাতেই বোনের ঘরে আসত। একপর্যায় আয়েশা বেগম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বোনের শারিরিক পরিবর্তন হলে আমরা গত ২১ এপ্রিল চৌগাছার পল্লবী কিøনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ইউএসজি অফ প্রেগনেন্সি প্রোফাইল (আলট্রসোনগ্রাফি) টেস্ট করি। সেখানে দেখা যায় আমার বোন ২৬ সপ্তাহ ২ দিনের গর্ভবতী। এসময় তার উপর চাপ সৃষ্টি করলে সে জানায়, আমাকে বিভিন্ন সময়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে জালাল উদ্দিন আমার ঘরে এসে আমার সাথে মেলামেশা করেছে। এ কথা কাউকে বললে সকলকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো সে। ছমির উদ্দিন আরো বলেন মেডিকেল রিপোর্ট পেয়ে আমরা জালালের বাড়িতে যাই এবং তার পরিবারের কাছে ঘটনাটি বলে আসি। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য লোক নিয়ে শালিসি বৈঠকও হয় কিন্তু জালাল উদ্দিন এর দায় নিতে অস্বিকার করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ভূক্তভোগী মেয়েটিসহ তার পরিবার রবিবার চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবাদত হোসেনের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি চৌগাছা পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেলের নিকট সামাজিকভাবে সমাধান জন্য পাঠিয়েছেন। সেখানে কোন সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে জালাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
খবর ৭১/ ই: