চৌগাছায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগে ক্ষতির পরিমান ২০ লাখ টাকা

0
349

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা :যশোরের চৌগাছায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক ব্যাবসায়ীর দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত ইউনুচ আলীর ছেলে উজ্জল হোসেনের মুদি, সার, কসমেটিক্স ও গার্মেন্টসের যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার পরপরই আগুন দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। আগুনে দোকানের সকল মালামাল পুড়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন জানায়, ছয় মাস আগে এলাকার ভদু মিয়ার ছেলে জসিম হোসেন (৩২) এর সাথে জমি লিজ দেয়া নিয়ে তার বাক বিতান্ড হয়। এর পর থেকেই কে বা কারা আমাকে নানা ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। জানুয়ারি মাসে মাঠে ইঞ্জিন চালিত স্যালো মেশিনে আগুন দেয়া হয়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় সে যাত্রা রক্ষা পাই। এর একমাস পর ফেব্রæয়ারি মাসে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময়ও এলাকাবাসির সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। কিন্তু এবার পুরো দোকানটিই আগুনে ভস্মিভ‚ত হয়ে গেছে। এলাকাবাসি যে যেমন ভাবে পেরেছে চেষ্টা করেছে কিন্তু দোকানের কোন কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। স্থানীয়রা জানান, আমরা প্রথমে বিকট শব্দ শুনতে পায়। মনে করি বোম ফেটেছে। তারপর ঘর থেকে বের হয়ে দেখি উজ্জ্বলের দোকানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন চারিদকে ছড়িয়ে পড়ে। ধারনা করা হচ্ছে দোকান ঘরের দরজা নিচ দিয়ে পেট্রোল ঢেলে তার পর আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় দুবৃত্তরা। গ্রামের নজরুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম, অšুÍ বিশ্বাস, আতিয়ার রহমান, রবিউল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী উজ্জ্বল একজন সৎ ছেলে, তার কোন শত্রæ আছে বলে আমাদের জানা নেয়। তবে গত জানুয়ারি মাসে একই গ্রামের ভদু মিয়ার ছেলে জসিম হোসেন এর সাথে তার ঝগড়া বিবাদ হয়। এর পর থেকেই উজ্জলকে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here