চৌগাছায় নাশকতা মামলা: উপজেলা বিএনপির সভাপতি সহ আসামী ১৬

0
253

খবর৭১:চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ বিএনপির জামায়াতের ১৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে আবারও চৌগাছা থানায় কথিত নাশকতা মামলা করেছেন পুলিশ। আগামী ৮ ফের্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এই আশংকায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সাজানো এই মামলায় বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে আসামী করায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা উপজেলা জুড়ে।
সূত্র জানায়, গত ২ ফের্রুয়ারী চৌগাছা থানা পুলিশের এসআই অনিল মুখার্জী বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় আবারও নাশকতার মামলা করেছেন। মামলা নং-১। ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(২)/২৫-ঘ তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলির আইনের ৪/৫/৬। মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনপ্রিয় নেতা জহুরুল ইসলাম সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ৩০/৩৫ অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীর হলেন উপজেলার পেটভরা গ্রামের অমেদুল ইসলাম সন্তোষ, মোঃ নান্নু মিয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও শ্রমিক নেতা সাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল হামিদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বিএম আজিম উদ্দিন, নারায়নপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তরিকুল ইসলাম ডাবলু, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নাজমুজ্জামান খোকন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, সলুয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, আড়ারদাহ গ্রামের মকলেছ হোসেন, হোগলডাঙ্গা গ্রামের আলী আহমেদ, জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ লতা, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মহি উদ্দিন ও নারায়নপুর ইউনিয়ন বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক মজনুর রহমান। এ ছাড়া এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী অমেদুল ইসলাম সন্তোষ ও মোঃ নান্নু মিয়াকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বিবারনে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই অনিল মুখার্জী, এসআই আবু সুফিয়ান সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার পেটভরা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় নারায়নপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পেটভরা গ্রামের অমেদুল ইসলাম সন্তোষের বাড়িতে তল্লাসাী করে ৫টি জিহাদী বই, ১২ টি সরকার বিরোধী লিফলেট, ৪টি হাত বোমা জব্দ করে। ওই বাড়িতে উল্লেখিত নেতারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার সৃষ্টির লক্ষে গোপন বৈঠক করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিয়া পালিয়ে গেলেও সন্তোষ ও নান্নুকে তারা আটক করেন। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দীর্ঘদিন যশোর শহরে বসবাস করেন, অন্যদিকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকাতে বসবাস করেন অথচ তারাও এই সাজানো মামলার আসামী হয়েছেন। এদিকে কথিত নাশকতা মামলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা উপজেলা জুড়ে। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অনির্বাচিত ও জনগন থেকে সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে এই সরকার এখন মামলার পথ বেছে নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই সাজানো মামলা। এতে আমরা বিচলিত নই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আইনি মাধ্যমেই মিথ্যা এই মামলা মোকাবেলা করা হবে বলে তিনি জানান।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here