চৌগাছায় দুদক কমিশনারের নির্দেশে হাসপাতালে অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত

0
229

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু ,চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃযশোরের চৌগাছা হাসপাতালের অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির বিষয়ে গণশুনানিতে দুদক কমিশনারের নির্দেশে হাসপাতালে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির একটি টিম হাসপাতালে এসে অভিযোগকারীদের স্বাক্ষাতকার গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ হারুন-অর-রশিদ ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক রাজুর সমন্বয়ে দুই সদস্য টিম মঙ্গলবার সকালে চৌগাছা হাসপাতালে আসেন। সেখানে অভিযোগকারী ফটো সাংবাদিক শামীম রেজাকে ডাকা হয়। এ সময় অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তথ্য ও প্রমানের কাগজপত্র চাওয়া হয়। একইসাথে গণশুনানিতে মৌখিক অভিযোগটি লিখিতভাবে তারা গ্রহণ করেন। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে চৌগাছায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গণশুনানি শুরু হলে জামলতা গ্রামের প্রশিক্ষিত আশারফ হোসেন আশা হাসপাতালের দুর্নীতির বিষয়ে প্রথম অভিযোগ উত্থাপন করেন। এ সময় হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সেলিনা বেগম ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন। আল্ট্রাসনো মেশিন বন্ধ, নিজের প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার জন্য রোগী পাঠানো, হাসপাতাল পরিচ্ছন্নের ২ লাখ টাকা ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাত, পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ১৫টি টিউবওয়েলের টাকা আত্মসাত বিষয়ে তিনি অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ফটো সাংবাদিক শামীম রেজা হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আওরঙ্গজেব ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুব্রত কুমার বাগচি হাসপাতালে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় বাহিরে প্রাকটিস করেন। ফলে সাধারণ রোগীদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া হাসপাতালের সহকারী মফিজ র্নীতির সাথে জড়িত বিষয়ও অভিযোগ উত্থাপিত হয় গণশুনানিতে। মূলতঃ এসব অভিযোগরে ভিত্তিতে দদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি তদন্তের জন্য যশোর সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন। একই সাথে ১ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দুদক কার্যালয়ে পাঠানোরও কড়াকড়ি নির্দেশ দেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রমান ও লিখিতভাবে অভিযোগটি গ্রহণের জন্য ডেপুটি সিভিল সার্জনসহ দুই সদস্য তদন্ত কমিটি আসেন হাসপাতালে। এ বিষয়ে অভিযোগকারী শামীম রেজা বলেন, গণশুনানিতে আমি মৌখিক অভিযোগ করেছিলাম। আজ লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। গণশুনানিতে আশারফ হোসেন আশা যে নির্দিষ্ট অভিযোগ দিয়েছিলেন সেসব বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়নি। এমনকি অভিযোগকারী আশারফ হোসেন আশাকেও ডাকা হয়নি। এখানে শুধু আমাকে ডেকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। আমি সেটা দিয়েছি। তদন্ত কমিটির সদস্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক রাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সিভিল সার্জনের নির্দেশে আমরা এসেছি। যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবে তদন্ত চলছে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here