চৌগাছায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা

0
389

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু ,চৌগাছা (যশোর)প্রতিনিধিঃ  গত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মসুর ও গমের ক্ষতি বেশি হবে বলে আশংকা করছেন কৃষকরা। এদিকে উপজেলার নিন্ম অঞ্চলের ইরি বোরো ধানের কানায় কানায় পানি উঠে গেছে। কিছু কিছু এলাকার ধান আবার পনির নিচে তলিয়ে গেছেও বলে খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরে কখনও হালকা কখনও ভারী বৃষ্টিপাতে নাকাল চৌগাছা উপজেলাবাসি। অবিরাম বৃষ্টিপাতে নাজেহাল মানুষ। বিশেষ করে কাজ না থাকায় নিন্ম আয়ের মানুষের কষ্ট কয়েকগুন বেড়ে গেছে। একটানা বৃষ্টির কারনে উঠতি ফসলের ক্ষতি বেশি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। এরমধ্যে মসুর, গম, খেসাড়ি, আমের ও লিচুর মুকুলের ক্ষতির সম্ভবনা বেশি। উপজেলার অধিকাংশ মাঠে মসুর পাকা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে মসুর তুলে জমিতেই শুকানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিপাতে সেই সব মসুরের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আবার অনেক এলাকার মসুরের জমিতে জমে গেছে পানি। মসুর ক্ষেতের উপর পানি থই থই করছে। মসুর চাষি আজিজুর রহমান বলেন, যখন মসুর পাকা শুরু হয়েছে তখন এই বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির কারনে মসুরের বেশ ক্ষতি হবে বলে তিনি মনে করছেন। টানা বৃষ্টির সাথে থেমে থেমে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে করে আম, লিচু, সজনের মুকুল ঝরে পড়েছে। চৌগাছা এলাকায় বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে আম ও লিচুর। মৌসুমী এই ফলের শুরুতে এমন ক্ষতি কৃষককে ভাবিয়ে তুলেছে। আম চাষি রোজনুজ্জামান বাবু বলেন, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছেন। এ বছর প্রতিটি গাছে বিপুল পরিমানে মুকুল আসে। কিন্তু ক’দিনের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় আমের মুকুল ঝরে গেছে। এদিকে একটানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিচু এলাকায় ইরি ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আবার অনেক এলাকার রোপা ধানের গলায় গলায় পানি উঠে গেছে। বিশেষ করে উপজেলার ফুলসারা, পাশাপোল, সিংহঝুলী, সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকার নিচু অঞ্চলের রোপা ধান পনির নিচে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক এলাকার জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ধান তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ধান চাষি শাহীনুর রহমান বলেন, এখনও পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে খুব বেশি সমস্য হওয়ার কথা না। তবে বৃষ্টি যদি অব্যহত থাকে তাহলে রোপা ইরি ধানের ক্ষতি হবে বলে তিনি আশংকা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচউদ্দিন বলেন, বৃষ্টিতে উঠতি ফসলের কিছু ক্ষতি হবে বলে মনে করছি তবে সেটি খুব বেশি পরিমান না। তবে এখনই বৃষ্টি কমে গেলে ক্ষতির সম্ভবনা অনেক কমে যাবে। বৃষ্টি থেমে গেলে ক্ষতির পরিমান নির্নয় করা যাবে বলে তিনি জানান।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here