মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছার পল্লীতে এক দিনেই বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশু সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আহতরা কুকুরের কামড়ের শিকার হয়। এক সাথে এত রোগীর সেবা প্রদানে এ সময় পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীদের রীতিমত হিমশীম খেতে হয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতিকালে চৌগাছা পৌরসভা সহ উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে বেওয়ারিশ কুকুরের ব্যাপক উৎপাত বেড়ে গেছে। পৌর এলাকায় স্বল্প পরিসরে কুকুর নিধোন পরিচালনা করা হলেও গ্রামাঞ্চলে এর কোন প্রভাব পড়েনি। এর ফলে গ্রামের অধিকাংশ কুকুর সময় অসময়ে মানুষ এমনকি পশু পাখির উপর হামলা করছে। সোমবার সকালে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের আন্দারকোটা গ্রামে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, আন্দারকোটা গ্রামের আনিছুর রহমানের সাড়ে ৪ বছরের শিশু কন্যা ফাতেমা খাতুন, হাফিজুর রহমানের স্ত্রী লিমা খাতুন (৩৬), নুরুজ্জামানের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৫০), রেজাউল ইসলামের মেয়ে সাথি খাতুন (১২) ও স্বপনের সাড়ে তিন বছরের ছেলে তাপছিমুল হাসান। এদিকে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন উপজেলার সাঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের মিষ্টারের মেয়ে পিঞ্জিরা (১১), বাজেখড়িঞ্চা গ্রামের শাহিনুর রহমানের মেয়ে সুমি খাতুন (১৩), দূর্গাবরকাটি গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে মনির হোসেন (৫৫), টেগুরপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে রিফাত হোসেন (৫), সলুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হাশেম আলী (৫৫), দেবীপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেনের ছেলে জিহাদ আলী (৬) ও মাঠচাকলা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শুকুর আলী (৪০)। আহতরা সকলেই সোমবার সকালে চৌগাছা পৌরসভায় আসেন ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য। এক সাথে এত রোগীকে সেবা প্রদান করতে যেয়ে পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা রীতিমত হিমশীম খেয়ে যায়। আহত রাশিদা বেগম জানান, হঠাৎ করেই গ্রামাঞ্চলে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা অনেক গুন বেড়ে গেছে। কুকুরের উৎপাতে মানুষ স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারছেনা। তিনি জানান, দল বেধে কুকুর সড়ক এমনকি বাড়িতে হানা দিচ্ছে। সোমবার সকালে একটি কুকুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছোট্ট শিশু ফাতেমার উপর হামলা চালায়। এ সময় কুকুরের কামড়ে ওই শিশু মারাত্মক আহত হয়। আমি এমন খবর শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তার উপরে আসতে না আসতেই একটি কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। কুকুরের উৎপাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না বাড়িতে পালন করা পশু পাখিও। কুকুর দল বেধে হাঁস মুরগী, ছাগল, গরুকে আক্রমন করছে। এলাকার মানুষ কুকুর আতংকে আতকিংত হয়ে পড়েছে। চৌগাছা পৌরসভার স্বাস্থ্য সহকারী আবু সাঈদ মোঃ রাজু জানান, কুকুরে কামড়ানো রোগীকে আমরা সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি। মাঝে মাঝে রোগীর চাপ বাড়ে ঠিকই কিন্তু আজকে অতিরিক্ত রোগীর চাপ হয়েছে। পৌরসভায় পর্যাপ্ত পরিমানে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকাসন মজুদ জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
খবর ৭১/ ই: