চৌগাছায় আ’লীগ নেতা বারিক হত্যা মামলার চার আসামী ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে আটক

0
663

চৌগাছা (যশোর)ঃ যশোরের চৌগাছায় দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা বারিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহ পর গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। রবিবার বিকালে আটককৃতদের চৌগাছা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সিট চারাবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা বারিক হোসেন নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর সন্ত্রাসীরা সকলেই আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশ আসামীদের আটকে ব্যাপক তৎপর ছিলেন। অবশেষে শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা অফিসার ইনচার্জ রিফাত খাঁন রাজিবের নেতৃত্বে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিকাশ চন্দ্রসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকা নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরফা এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ঠ থানা পুলিশের সহযোগীতায় চার আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়। রবিবার বিকালে থানা অভ্যান্তরে প্রেসব্রিফিং এ অফিসার ইনচার্জ বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামীকে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হলো চারাবাড়ি গ্রামের এলাহী বক্্েরর ছেলে ঠান্ডু মিয়া (৪৩) ও নজরুল ইসলাম (৩৬), ঠান্ডু মিয়ার ছেলে শিমুল (২৫) এবং মৃত জাফর আলীর ছেলে শিমুল হোসেন (২৪)। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে আটকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফের্রুয়ারী রবিবার সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে সিটচারাবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে বারিক হোসেন (২৮) ও তার বড় ভাই আনিছুর রহমান (৩০) বাড়ির পাশেই পুকুরে মাছ ধরার সময় দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে বারিক হোসেনকে হত্যা করে। হামলায় মারাত্মক আহত তার বড় ভাই আনিছুর রহমান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। জমাজমি নিয়ে বিরোধে এই হত্যাকান্ড প্রচার হলেও মুলত দলীয় কোন্দলে বারিক নির্মম হত্যার শিকার বলে স্থানীয়রা জানান। নিহত বারিক হোসেন বিগত ৬/৭ বছর ধরে এলাকায় একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন বারিক হোসেন নিজেই। তাদের অত্যাচারে খোদ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অতিষ্ট ছিলো। দলের স্থানীয় একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তবে এ ধরনের হত্যাকান্ডও তারা সমার্থন করেনা। থানা পুলিশ বলছে নিহত বারিক হোসেনের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় অন্তত ৬টি মামলা আছে। থানা অফিসার ইনচার্জ রিফাত খাঁন রাজিব বলেন, মামলার এজাহার ভুক্ত সকল আসামীকে আটকে পুলিশ তৎপর আছে। দ্রুত সময়ে সকলকে আটক করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি জানান।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here