চৌগাছা (যশোর)ঃ যশোরের চৌগাছার এক স্কুল ছাত্রের হর্ড ছিদ্র হয়ে চিকিৎসা অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। দরিদ্র পিতা-মাতা প্রিয় সন্তানকে সুস্থ্য করে তোলার জন্য বলাচলে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে চিকিৎসা খরচ যোগাতে তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাই প্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে তারা সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। জানা গেছে, চৌগাছা পৌর এলাকার জিওয়লগাড়ি মহল্লার বাসিন্দা জাকির হোসেন। তার ছেলে মাহমুদ হোসেন স্থানীয় কংশারীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র। মাহমুদ হোসেন জন্ম থেকেই হার্ডের রোগে ভুগছিলেন। দিনমজুর পিতা তাকে সে থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার চিকিৎসা করেছেন। নানা পরীক্ষা নিরিক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার হার্ড ছিদ্র হয়ে গেছে। চিকিৎসা করলে মাহমুদ ভাল হয়ে যাবে। দীর্ঘ চিকিৎসা করে সে আজও সুস্থ্য হতে পারেনি। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। মাহমুদের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার পুরোপুৃরি সুস্থ্য করে তুলতে হলে দেশের বাইরে নিতে হবে। দরকার প্রায় ৪ লাখ টাকার। কিন্তু এতো টাকা ওই দিনমজুর পিতার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাই ছেলেকে বাঁচাতে তিনি সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। শিশু মাহমুদের গর্ভধারীনি মা রুবিনা খাতুন জানান, মাহমুদকে বাঁচাতে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তারপরও ছেলে সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। চিকিৎসকের ভাষ্য মতে এখনও ৪ লাখ টাকার দরকার। এই সমাজে অনেক বৃত্তবান আছেন, আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে আপনাদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি আপনারা আমার ছেলে বাঁচান। কংশারীপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমান বলেন, মাহমুদ অত্যান্ত শান্ত ও মেধাবী ছেলে। আমরা সকলেই চাই সে ভাল হয়ে আবার পড়ালেখায় ফিরে আসুক। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-সঞ্চয়ী হিসাব নং ২০৫০২৭৫০২০২৫২৪৯০৫, ইসলামী ব্যাংক চৌগাছা শাখা, যশোর। মোবাইল-০১৭৯২০৪১৮৩৯।
খবর৭১/ইঃ