চৌগাছার রাজাপুর ভায়া যাদবপুর সড়কটির চরম বেহালদশা দ্রুত পাকা করনের দাবি

0
336

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছার রাজারপুর ভায়া যাদবপুর ইটের সলিং সড়কটির চরম বেহালদশার কারনে জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। এক সময়ের কাদা মাটির সড়ক ইটের সিলং হওয়ায় পরে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু সেই সলিং কারার পার দেড় যুগ পার হয়েছে। সড়কের উপর থেকে ইট উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্তের। প্রতি দিন শতশত মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন। সড়কের বেহালদশার কারনে তাদের কষ্টের যেন শেষ নেই। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ কষ্টকে উপেক্ষা করে চলাচল অব্যহত রেখেছেন। এলাকাবাসি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রæত পাকাকরনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার ভারত সীমান্তর গা ঘেষা গড়ে উঠা একটি ইউনিয়নের নাম সুখপুকুরিয়া। এই ইউনিয়নের পাশেই ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার অসংখ্য গ্রাম হাট বাজার বিস্তৃত। নানা কারনে সুখপুরিয়া ইউনিয়নের গুরুত্ব অপরিসীম। ইউনিয়নের অন্যতম একটি এলাকা হচ্ছে রাজাপুর। রাজাপুর বাজারটি হচ্ছে চৌগাছার উপজেলার শেষ সীমান্তে অবস্থিত। এই বাজারের একটি অংশ পড়ে গেছে পাশ্ববর্তী ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলায়। দুই উপজেলাবাসির সরব উপস্থিতিতে রাজাপুর বাজারটি সারক্ষনই জমজমাট থেকে। সূত্র জানায়, রাজাপুর ভায়া যাদবপুর বাজারের সাথে যাতায়াতের জন্য একটি সড়ক আছে। যার দুরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটারের মত। দেশ স্বাধীনের পর এই সড়কটি ছিল সম্পূর্ণ কাঁচা। এঁটেল মাটি অধ্যস্যুত এলাকা হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুমে গোটা সড়কে অভাবনীয় কাদা সৃষ্টি হত। এই কাদার কারনে মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠত। এলাকাবাসির কষ্টের দিক বিবেচনা করে দেড়যুগ আগে তৎকালীন সরকার সড়কটি সলিংকরণ করেন। সলিং করার পর এলাকাবসির মুখে স্বস্তির হাসি ফুটে উঠে। সড়কটি সলিং করার পর পার হয়ে গেছে অনেকটি বছর। এই দীর্ঘ সময়ে সলিংটি সংস্কার কিংবা কোন ধরনের মেরামত করা হয়নি অভিযেগ স্থনীয়দের। ফলে গোটা সড়কের উপর থেকে ইট উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। যা কিনা পায়ে হেটে চলাও এখন কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। স্থানীয় একধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজাপুর-যাদবপুর সড়কটি দুই উপজেলাবাসির মধ্যে মেরুবন্ধন সৃষ্টি করেছে। ব্যবসা বানিজ্যসহ সব দিক দিয়ে সড়কটির ভুমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে পুড়াপাড়া বাজার এমনকি চৌগাছা হয়ে বিভিন্ন অ লে যাতায়াত করেন। দেশ সেরা চৌগাছার ৫০ শয্যা মডেল হাসপাতালে ওই অ লের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে ছুটে আসেন। এর বড় একটি অংশ হচ্ছে মা ও শিশু। কিন্তু সড়কের এই বেহাল দশার ফলে রোগী ও স্বজনদের অভাবনীয় কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। মাত্র দুই কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে তাদের অভাবনীয় কষ্ট যন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে। সড়কটির এই বেহাল দশার কারনে যাদবপুর অ লের অনেক মানুষকে প্রায় ২০ কিলোমিটার অতিরিক্ত সড়ক পাড়ি দিয়ে চৌগাছাতে পৌছাতে হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ী, সাধারণ পথচারী কিংবা স্কুল কলেজেরে শিক্ষার্থীদেরও কষ্টের কোন কমতি নেই। সড়কটির মাঝ বরাবর দু’পাশেই বেশ কয়েকটি পুকুর বিদ্যমান। এ সকল পুকুরে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ হয়ে আসছে। বছরের পুরো সময় ধরে পুকুর গুলোতে পানিতে টয়চুম্বুর থাকে। সড়কটি সংরক্ষনে পুকুর পাড়ে তৈরী করা হয়নি কোন বাধ। ফলে মুল সড়কের অনেক স্থান বর্তমানে পুকুরে বিলিন হয়ে সড়ক হয়ে পড়েছে সংকুচিত। জীবনের ঝুকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে সবাই চলাচল করছেন। চৌগাছা-যাদবপুর রুটে এক সময় যাত্রীবাহি বাস চলাচল করত, কিন্তু সড়কের এই চরম বেহাল দশার করনে চৌগাছা বাসমলিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস শুকুর, আমানউল্লাহসহ অনেকে জানান, রাজাপুর-যাদবপুর সড়কটির এই বেহালদশার কারনে ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। প্রায় দেড় যুগ আগে এই সড়কটি সলিং করা হয়। এরপর অনেক সরকার এসেছে কিন্তু কেউ সড়কটি পাকা করনের উদ্যেগ নেইনি। সড়কটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় দুই উপজেলাবাসি অবিলম্বে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পাকা করনের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে বাধ নির্মান করে সড়কটি নিরাপদ চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here