চৌগাছা (যশোর); যশোরের চৌগাছায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর ভাঙ্গা ব্রিজ নির্মানে অহেতুক কাল বিলম্ব করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অভিযোগ এলাকাবাসির। ফলে ভাঙ্গা ব্রিজের উপর দিয়ে চরম ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় জনগনসহ যানবাহন। প্রায় দিনই সেখানে দূর্ঘটনা লেগেই আছে। বিশেষ করে রাতের আঁধারে পথচারীরা বেশি দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি দ্রুত নির্মানের দাবি জানিয়েন এলাকাবাসি।
সূত্র জানায়, উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহবান বুড়ি ভৈরব নদ পাশাপাশি দুই ইউনিয়ন বাসিকে বলাচলে দু’ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের লক্ষে বহু বছর আগে বুড়ি ভৈরব নদের উপর একটি ব্রিজ নির্মান করা হয়। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ওই ব্রিজ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় নতুন ব্রিজ নির্মানে দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পান চৌগাছার বিশিষ্ঠ ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম মুকুল। তিনি কাজ পাওয়ার পরপরই ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেন। পুরাতন ব্রিজের অর্ধেকের বেশি ভেঙ্গেও ফেলেন। পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্তে ব্রিজের দুই পাশ দিয়ে মাটি ফেলে যাতায়াতের জন্য যেনতেন ভাবে রাস্তা বের করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। কাজ বন্ধের পর প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেছে কিন্তু আজও ব্রিজ নির্মানে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। এরফলে চরম দূর্ভোগে পড়েন স্থানীয় জনগনসহ পথচারীরা। বিশেষ করে অপরিচিত কোন ব্যক্তি ওই সড়কে গেলে তাকে পড়তে হচ্ছে দূর্ঘটনার কবলে। সূত্র জানায়, দেবীপুর বাজার হতে পাশ্ববর্তী নারায়নপুর বাজারে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ওই সড়কটি। ভৈরব নদের উপর ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলায় অসহোনীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলার কারনে মটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও ভ্যান ছাড়া কোন ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ব্রিজের পাশ দিয়ে মাটি ফেলে চলাচলের জন্য যে সড়ক নির্মান করা হয়েছে সেটিও চলাচলের অনুপযোগী। তাই দ্রুত ব্রিজটি নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম মুকুলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, পুরাতন ব্রিজটি ভাঙ্গার জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা ইতোমধ্যে আমার ৫ হাজার টাকা ভাঙ্গা বাবদ ব্যয় হয়ে গেছে। পাশে চলাচলের জন্য যে কাঁচা সড়ক নির্মান করা হচ্ছে সেটিও মাটি অভাবে নির্মান করতে পারছিনা, কারণ স্থানীয়রা মাটি দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছেন। ফলে কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে, তবে আশা করছি দ্রুতই কাজ শুরু করা যাবে।
খবর৭১/এসঃ