চৌগাছার জগদীশপুর তুলা ফার্মের গেট বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে ঝাড়– মিছিল

0
408

স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ য‌শো‌রের চৌগাছার জগদীশপুর তুলা গবেষনা ও বীজ বর্ধন খামারের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি গেট বন্ধ করে দেয়ার খবরে উত্তাল হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসি। এবার গেট বন্ধের প্রতিবাদে এলাকার শতশত নারী পুরুষ, স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ঝাড়– মিছিল করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা মিছিল সহকারে ফার্মের গেটে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে মিছিল কারীরা শান্ত হয়।
সূত্র জানায়, দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষনা ও বীজ বর্ধন খামারের নিরাপত্তার স্বার্থে খামারের চারপাশে প্রাচীর নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষে নির্মান কাজ দ্রুত এগিয়ে চলতে থাকে। খামার কর্তৃপক্ষ পুরাতন ৩নং গেইট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান নেয়। এ খবরে ফুসে উঠে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। গেটটি বহাল রাখার দাবিতে এর পূর্বে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, স্মরকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার শতশত নারী পুরুষ, স্কুল কলেজের ছাত্র ছত্রী এই ঝাড়– মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি খামারের ৩ নং গেটে এসে দাড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিছিলকারীদেরকে শান্ত করেন। গ্রামবাসির পক্ষে ঝাড়– মিছিলের নেতৃত্ব দেন মোঃ জিন্নাহ মিয়া। সূত্র জানায়, ১৯৮০ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উপজেলার জগদীশপুরে খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম আ লিক তুলা উন্নয়ন, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধণ খামার বলে এর খ্যাতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠাতাকালীন সময়ে খামারের চার পাশে তারকাটা দিয়ে সীমানা প্রাচীর করার সময়ে তিন দিকে তিনটি গেইট রাখা হয়। স্বর্পরাজপুর বাজার সংলগ্ন একটি গেট, জগদীশপুর গ্রাম সংলগ্ন ও মির্জাপুর গ্রাম সংলগ্নে এই গেট রাখা হয়। বর্তমানে তার কাটার আদলে নির্মান করা হচ্ছে ইটের প্রাচীর। এই প্রাচীর নির্মানে কতৃপক্ষ দুইটি গেট রেখে খামারের উত্তর পূর্বকোনে ৩নং গেইট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ খবরে খামারের অপরপার্শে¦ অবস্থিত ৩টি বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কান্দি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বর্পরাজপুর দাখিল মাদ্রাসা ও জেএমএসকে কলেজে অধ্যায়ণরত মির্জাপুর গ্রামের পাঁচশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা গ্রহনে দেখা দেয় চরম অনিশ্চিয়তা। এই প্রতিষ্ঠান গুলো ছাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য আর কোন প্রতিষ্ঠান নেই। একই এলাকায় অবস্থিত স্বর্পরাজপুর একটি বড় বাজার। এটি মির্জাপুর গ্রামবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটার একমাত্র বাজার। এ কারণে ৩নং গেইটি যেন বহাল রাখা হয় তার দাবি করেন গ্রামবাসি। এলাকাবাসির পক্ষে মোঃ জিন্নাহ মিয়া বলেন, মির্জাপুর গ্রাম সংলগ্ন গেটটি বহাল রাখা আমাদের প্রানের দাবি। কিন্তু বারবার গেট বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা গেটটি সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে খামার ব্যাবস্থাপক শেখ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেটটি বন্ধ করে প্রাচীর নির্মান কাজ শেষ করার কথা থাকলেও স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসি আজ অবাধি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ হতে কোন অনুমতি নিয়ে আসতে পারেনি। ঠিকাদার কাজ শেষ করে চলে যাবে এই অবস্থায় আজ সেখানে কাজ করতে গেলে গ্রামবাসি বাধা দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হয়ে ফিরে যায়। আপাতত কাজ বন্ধ আছে বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here