চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাস নিবাচন নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি

0
239

প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে। পরস্পরের বিরুদ্ধে তারা পাল্টা পাল্টি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। লাভলু-দুলু-হেলা গ্রুপ বলেছেন ইয়াকুব গ্রুপের অন্তত ১৫ জন প্রার্থী চুয়াডাঙ্গা চেম্বার নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তারা দাবি করেন ৫ ডিসেম্বর/১৭ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিধি মোতাবেক পর পর দুই মেয়াদে চেম্বারের দায়িত্ব পালন করলে তার পরের বার সে নির্বাচন করতে পারবে না। এই দাবির স্বপক্ষে লাভলু-দুলু-হেলা পরিষদ শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করে নতুন করে তফসিল ঘোষণার দাবি করেন ।

অপরদিকে চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ইয়াকুব-শাহারিন প্যানেল লাভলু-দুলু-হেলা প্যানেলের বক্তব্যকে নাকচ করে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন করে নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে মত প্রকাশ করেন। তারা বলেন ১৫ মার্চ/১৭ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিধি মোতাবেক সদস্যরা চাইলে এক ব্যাক্তি যতবার ইচ্ছা চেম্বারের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এই গেজেটের আলোকে নির্বাচন কমিশন ১২ নভেম্বর/১৭ দ্বি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচনের (২০১৮-২০২০) তফসিল ঘোষনা করেন। এই তফসিল ঘোষনার পর, ৫ ডিসেম্বর/১৭ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ পরিপত্র জারি করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৪ জন সাধারন সদস্যের বিপরীতে ২৭ জন ও ৫ জন সহযোগী সদস্যের বিপরীতে ৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বর্তমানে লাভলু-দুলু-হেলা প্যানেল ভোটের মাঠে রয়েছে। ইয়াকুব প্যানেলের সদস্যরা আরো বলেন যেহেতু দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তফসিল আগে ঘোষনা করা হয়েছে, পরে জারি হয়েছে পরিপত্র। সেই কারনে এই নির্বাচনে আমাদের সব প্রার্থী বৈধ বলে রায় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, দীর্ঘ আইনী জটিলতা শেষে গত বছরের ১২ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০১৮-২০২০ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষিত হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চেম্বারের নির্বাচন। নির্বাচনে প্রগতিশীল- উন্নয়ন পরিষদ ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পরিষদ নামে দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে ১৪টি পরিচালক পদে ২৭জন প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া ৫টি সহযোগি সদস্য পদে লড়ছেন ৭জন প্রার্থী ।

চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু শুক্রবার সকালে সংবাদ সন্মেলন করে বর্তমান পরিষদের সভাপতিসহ ১৫জন প্রার্থী নির্বাচনের অযোগ্য বলে দাবি করেন। স্বপক্ষে তিনি গত বছরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৫ ডিসেম্বর ঘোষিত গেজেট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গেজেটের ২১ (ক) ধারায় কেউ এক টানা দুই মেয়াদের অধিক নির্বাচন করতে পারবেন না। সেই হিসাবে ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া বর্তমান সভাপতিসহ ১৫জন প্রার্থী নির্বাচনের অযোগ্য হচ্ছেন। সংবাদ সন্মেলনে সাবেক সভাপতির পক্ষে হেলা- দুলু- সালাউদ্দীনের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পরিষদের ১১জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রগতিশীল উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে পাল্টা সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সন্মেলনে চেম্বারের সাবেক সভাপতির আনীত অভিযোগ নাচক করে দেন বর্তমান সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৫ মার্চ ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি। নতুন গেজেট প্রকাশ হয়েছে দেড় মাস পর। সংবাদ সন্মেলনের সময় প্রগতিশীল ও উন্নয়ন পরিষদের ১৭জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, ২০১৩ সালে বর্তমান পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চেম্বারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু ও রাশিদুজ্জামান নামে এক পরিচালক ঘোষিত তফসিলে ত্রুটি থাকার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here