প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা (১৭-০৩-১৮) চুয়াডাঙ্গায় গম ক্ষেতে নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমিতে নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন গেল ২ বছর ধরে কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তারপরেও অনেকেই নিজ দায়িত্বে চাষ করছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার চারটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬৭০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৯ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮৯ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ২১২ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমি গম চাষ হয়েছে।
চাষীরা জানান, মার্চ মাসের শুরুতে হঠাৎ করে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি পরে দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরম আর রাতে ঠান্ডা পড়ছে। তার পর থেকে গমের কান্ডে কালো আকার ধারণ করে গমের ফল পড়ে যাচ্ছে। গমের শীষের উপরের অংশ থেকে শুকাতে শুরু করে নিচের অংশ পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে। গমের শীষ শুকিয় যাওয়ায় গম চিটে হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক গম চাষে নিরুৎসাহিত ব্যপারে কৃষকরা বলেন,গম চাষ করছি বাড়ির খাবারের জন্য। কারণ দেশী গমের আটায় তৈরি খাবার ভাল লাগে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন,গত দুই বছর ধরে গমে ব্লাষ্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জন সচেতনা গড়তে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিলিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কৃষকদের মাঝে গম বীজ বিক্রি বন্ধ রাখতে ডিলার ও ব্যবসায়িদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে জেলায় গম চাষ কয়েক গুণ হ্রাস পেয়েছে। কৃষকরা মাঠে যে গম চাষ করছে তা নিজেদের উদ্যোগে।
খবর ৭১/ইঃ