চীন ফেরতদের নিয়ে সতর্ক অস্ট্রেলিয়া, পাঠানো হচ্ছে নির্জন দ্বীপে

0
469
চীন ফেরতদের নিয়ে সতর্ক অস্ট্রেলিয়া, পাঠানো হচ্ছে নির্জন দ্বীপে

খবর৭১ঃ সময় যতই গড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে চীনে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪২৫ জনের। আক্রান্ত আরও ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২৪টি দেশে ছড়িয়েছে।

তবে চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি জাপানে। সেখানে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া থাইল্যান্ডে ১৯ জন, সিঙ্গাপুরে ১৮ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে বিমানে করে চীন ঘোরা বিদেশিদেরও রাশিয়ায় প্রবেশে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। এদিকে, চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ইস্যু হওয়ার চীনা নাগরিকদের সকল ভিসা বাতিল করল ভারত। চীনের রাজধানী বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহর। উহান শত শত বিদেশি নাগরিককে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের উহান থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

চীন থেকে ফেরানো ৬০০ নাগরিককে নিয়ে একটি ফ্লাইট দেশে এসে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা। চীন থেকে ফেরত আসা এই ৬০০ নাগরিককে মূল ভূখণ্ডে নেয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে। যা অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে দুই হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সিডনি শহরের একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠিত একটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে’ রাখা হয়েছে। সেখান থেকে এসব নাগরিককে দেশটির ক্রিসমাস আইল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, চীন থেকে ফেরত আসা তার দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে।

তবে এ ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ এই দ্বীপটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিবিরগুলোর বেহাল দশা এবং পাশাপাশি এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here