খবর৭১: পরমাণু ইস্যুতে পশ্চিমা দুনিয়ায় হতাশ ইরান এবার পূর্বে ঝুঁকতে শুরু করেছে। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভাগ্য যখন ঝুলে আছে, তখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর চাপ মোকাবেলায় চীনে ভরসা খুঁজছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
শুক্রবার এক অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে চীনের উপকূলীয় শহর কুইংদাওতে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন-পিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে ইরানবিরোধী মানসিকতার মধ্যে দুই প্রেসিডেন্টের এই সাক্ষাৎ বেইজিংয়ের সঙ্গে তেহরানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে। এতে চীনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক আধিপত্য আরো বাড়বে।
চীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস বুধবার জানিয়েছে, রুহানির সফরে চীনের সঙ্গে ইরানের সামগ্রিক কৌশলগত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। ইরানে চীনের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুয়া লিমিং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীন প্রতিশ্রুতি ভাঙবে না। চীন নিশ্চয়তা দেয় যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’
ইরান এমন একটি দেশ, যারা ‘না পূর্ব, না পশ্চিম’ বলে গর্ব করতো। তবে ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প সরে যাওয়ার পর পূর্বের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করেছে ইরানি সরকার। চীনের সঙ্গে ইরানের নতুন এই সম্পর্ককে ‘লুকিং ইস্ট’ নীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
খবর৭১/জি: