চীনকে ঠেকাতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের ‘জ্বালানি কূটনীতি’

0
201

খবর৭১: প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমন্বিত আঞ্চলিক পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণ করছে ভারত। এরইমধ্যে তরল জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ শ্রীলংকাতে জাপানের সহাযোগিতায় একটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি সই করেছে দেশটি।

এতে বেশি দূষণকারী জ্বালানি থেকে কম দূষণকারী জ্বালানির দিকে ঝুঁকবে শ্রীলংকা। একে ‘জ্বালানি কূটনীতি’ হিসেবে দেখছে ভারত। দেশটির প্রত্যাশা, তেল বা কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে এলএনজিতে সরে আসার পর শ্রীলংকা যান চলাচলে সিএনজির দিকে নজর দেবে।

ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ হবে ভারতের। বাংলাদেশেও নিজের গ্যাসের ওপর ভরসা করে ইতোমধ্যে গ্যাসভিত্তিক অর্থনীতির দিকে ঝুঁকছে।

তবে ভারতের ধারণা, শিগগিরই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় এরইমধ্যে একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু করেছে দেশটি। ভারত ধামরা থেকে যশোর-খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্রেও এলএনজি সরবরাহ করতে ইচ্ছুক। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ চায় ভারত। এতে বাংলাদেশ হয়ে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এলএনজি সরবরাহ করতে পারবে ভারত।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিজয় গোখলে সম্প্রতি ঢাকা সফরে শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বর্তীপুর পর্যন্ত জ্বালানি সরবরাহের পাইপলাইন নির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে বাংলাদেশে ডিজেল সরবরাহের পরিকল্পনা আছে ভারতের।

এরইমধ্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি অলি ভারত সফর করেছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি দ্রব্য সরবরাহের একটি পাইপলাইন নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ভারতের জন্য। একই রুটে এলপিজি পাইপলাইনও করতে চায় দেশটি।

সম্প্রতি ইয়াঙ্গুনে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে মিয়ানমারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে ভারতের। বর্তমানে দেশটির মাউরিটিয়াসে শতভাগ জ্বালানি সরবরাহ করে ভারত। মালদ্বীপেও একই ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here