খবর৭১ঃবাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে এমন অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারা দুনিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ালেও চীন কার্যত সরাসরি মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে জাতিসংঘের উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে চীন।
কিন্তু চীন বাংলাদেশর বন্ধু রাষ্ট্র, আবার মিয়ানমারেরও বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশও দীর্ঘদিনের চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতেই সেই সুসম্পর্ক কোনো কাজে আসেনি।
এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য মিয়ানমার অগ্রসর হবে না। গত এক বছরে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
যে কোনো দেশে শরণার্থী সংকটের সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংকট সমাধানের জন্য প্রকৃত কাজ করার চেয়ে বিভিন্ন বক্তব্য বিবৃতির মধ্যেই বেশি সীমাবদ্ধ থাকে বলে উল্লেখ করেন সাবেক এ পররাষ্ট্র সচিব।
তৌহিদ হোসেন মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য চীনের ওপর নির্ভর করা বাংলাদেশের উচিত হবে না। চীন বাংলাদেশেরও বন্ধু, মিয়ানমারেরও বন্ধু। চীন সত্যিকার অর্থে অনেস্ট ব্রোকার-এর (সৎ মধ্যস্থতাকারী) ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু তারা সেটা করেনি।
তিনি বলেন, চীন খুব সুস্পষ্টভাবে, শক্তভাবে মিয়ানমারের অন্যায় এবং লজ্জাজনক ভূমিকার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাই চীনকে খুশি রেখে এ সমস্যার সমাধান করব আমরা, এ ধরনের কল্পনা না করাই ভালো। বাংলাদেশের দিক থেকে চীনকে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন চীন যে ভূমিকা পালন করছে, তাতে আমরা খুশি না।
খবর৭১/এসঃ