চিতলমারীতে নগ্ন ছবি পোষ্টে’র কারণে মৃত ছাত্রীর কলেজে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা

0
519

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে ফেসবুকে নগ্ন ছবি পোস্টের কারণে আত্মহননকারী কলেজ ছাত্রী দিশা মজুমদারের (১৭) অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে খাসেরহাট কালিদাস বড়াল স্মৃতি মাহবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খাসেরহাট কালিদাস বড়াল স্মৃতি মাহবিদ্যালয় থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর খাসেরহাট বাজারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কালিদাস বড়াল স্মৃতি মাহবিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অশোক কুমার বড়াল, অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায় ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তৃষা ঘরামী প্রমূখ। সভায় বক্তরা অবিলম্বে লম্পট মিঠুন মজুমদারের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সাথে তারা আগামী সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।অপরদিকে, মেধাবী কলেজ ছাত্রী দিশা মজুমদারের আত্মহননের ঘটনায় তার বাবা সুকুমার মজুমদার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মিঠুন মজুমদারকে প্রধান আসামী করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ ইকরাম হোসেন জানান, দিশা আত্মহননের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ক ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১৪। আসামী মিঠুন স্বপরিবারে পালাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। প্রসংগত, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী জগদীশ মজুমদারের ছেলে মিঠুন মজুমদার (২৫) দিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় মিঠুন সুকৌশলে দিশার গোসলে পরে কিছু অশ্লীল ছবি তোলে। সেই ছবি দিয়ে মিঠুন ফেসবুকে একটি ফেক আইডি খোলে। সম্প্রতি ফেসবুকের ওই ছবি গুলো নিয়ে এলাকায় তোলাপাড়র সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর গত বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিশা মিঠুনকে ফেসবুক থেকে ওই ছবি গুলো সরানো জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু মিঠুন পুনরায় কুপ্রস্তাব দিয়ে হুমকি-ধামকি প্রদান করায় দিশা বাড়ির পাশের একটি গাব গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষ।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here