চালকের ফাঁসির দাবিসহ ১২ দফা দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীরা

0
261

খবর ৭১ঃ রাজধানীর রামপুরা সড়কে বেপরোয়া বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।ঘাতক সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিসহ ১২ দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছে তারা।

ছাত্র বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানীর ব্যস্ততম বাড্ডা-রামপুরা সড়ক। সড়কের দুপাশেই অবস্থান নিয়ে আছে তারা।দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছে তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করছে।তারা বাসচাপায় নিহত সহপাঠীর বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছে।এই সড়কে যান চলাচল একেবারেই বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের কাছে যান ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া যত দ্রুত সম্ভব মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে লিখিতভাবে দাবিগুলো উত্থাপনের অনুরোধ জানান।শিক্ষার্থীরা মেয়রের কাছে দাবিগুলো জানালেও সড়ক ছাড়ছে না।

১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১) ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক, হেলপার ও মালিকের ফাঁসি;

২) সু-প্রভাত ও জাবালে নূরসহ যেসব বাস আজ ও এর আগে দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব বাসের রুট পারমিট বাতিল;

৩) চালক হেলপারের ডোপ টেস্ট;

৪) বাস-সহ গণপরিবহনের চালক-হেলপারের আইডি কার্ড ভিজিবল করা;

৫) বসুন্ধরা আবাসিক/যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রা ক্রসিংসহ নিহত আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ করতে হবে দুই মাসের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর নর্দা-বসুন্ধরা এলাকায় দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়া ওই বাসচালককে এবং জব্দ করা হয়েছে বাসটিকে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবরার আহমেদ চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিইউপির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ওই শিক্ষার্থী রাস্তা পারাপারের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। আবরার বসুন্ধরা এলাকায় থাকতেন। আবরারের লাশ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিইউপির একটি বাস সকালে বসুন্ধরা এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়েছিল। সকাল সোয়া ৭টার দিকে আবরার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই পরিবহনের অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার জন্য বেপরোয়া গতিতে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। দূর্ঘটনার পর নিহত ছাত্রের সহপাঠীরা বাসটি আটক করেন। এ সময় চালক ও হেলপার পালানোর চেষ্টা করেন। পরে চালক সিরাজুল ইসলামকে ধরে ফেলেন শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীতে ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ’ চলার মধ্যেই এ দূর্ঘটনা ঘটল। নিহত শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে জড়িত ছিলেন।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here