খবর৭১ঃচার দফায় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়ে অবশেষে ঢাকার কেরানীগঞ্জে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের ঢাকা জেলার ইজতেমা। আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা সফলের লক্ষে জেলাভিত্তিক ইজতেমার ধারাবাহিকতায় ঢাকা জেলার এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খোলা আকাশের নিচে উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি ত্রিপল ও শামিয়ানা টানিয়ে ঐতিহাসিক এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, জুমার নামাজে কয়েক লাখ মুসল্লি জড়ো হয়েছেন। মাঠে লোকে লোকারণ্য। লাখো মানুষের জমায়েতে জুমার নামাজের ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের প্রবীণ মুরব্বি মাওলানা মোশাররফ হোসাইন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুলিশ ও আলমি শুরাপন্থীদের বারবার বাধার মুখেও লাখো তাবলিগের সাথি জিকিরের সঙ্গে বাঁধভাঙা স্রোতের মতো মাঠে প্রবেশ করেন। ইজতেমাকে ঘিরে ঢাকা জেলার মুসল্লিদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
গত সপ্তাহে ঢাকার মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং মাঠের কাজ ৮০ ভাগ সমাপ্ত করেন তাবলিগের সাথিরা। এরপরও সেখানে বাধার মুখে ইজতেমা করতে পারেননি তারা।
গত শুক্রবারে প্রায় তিন হাজার তাবলিগের সাথিরা স্বেচ্ছাশ্রমে মিরপুর ময়দানের কাজ শুরু করেন। শত শত অজুখানা, টয়লেট ও বিশাল শামিয়ানা তৈরি করেন। কিন্তু রাতে একশ্রেণির আলেমদের রাজনৈতিক চাপে পুলিশ তা বন্ধ করে দিয়ে তাবলিগের সাথিদের ময়দান থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে।
ইজতেমা করার জন্য তাবলিগের মুরুব্বিরা অনেক চেষ্টাও করেও কোনো কূল পাচ্ছিলেন না। ঢাকা জেলা ইজতেমার জন্য এসব বাধার কারণে চারবার স্থান বদল করতে হয়েছে মূলধারার তাবলিগ সাথিদের।
ফলে নিরুপায় হয়ে তাবলিগের মুরুব্বিরা গত বৃহস্পতিবার রাতে তাবলিগের সাথিদের চাপা ক্ষোভ মেটাতে কেরানীগঞ্জে তাবলিগের ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেন।
ঘোষণার পরপরই বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইজতেমার ময়দান কেরানীগঞ্জের খোলামোড়ে মুসল্লিদের ঢল নামতে থাকে। বাদ ফজর কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা মুহাম্মদউল্লার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়।
বাদ জুমা বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ আছর বয়ান করেন বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের শূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, বাদ মাগরিব বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের প্রবীণ মুরুব্বি ও বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের আহলে শূরা সদস্য মাওলানা মোশাররফ হোসেন এবং শনিবার বয়ান করবেন বাদ ফজর মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব।
আগামী রোববার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ঢাকা জেলার ইজতেমা।
খবর৭১/এসঃ