চাঁদা না দেয়ায় লালমনিরহাটের ঠিকাদারের উপর কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা

0
273

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাদশা আলমগীর (৫৫) নামে লালমনিরহাটের এক বিদ্যুতের ঠিকাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ঠিকাদার বাদশা আলমগীর লালমনিরহাট পৌরসভা শহরের খোঁচাবাড়ি এলাকার মৃত মমতাজ আলীর ছেলে। তিনি মেসার্স চন্দন এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের মালিক। সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিচার চেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেছেন দুই জেলার ৪৭ ঠিকাদার।
অভিযোগে জানা গেছে, লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুত সমিতির কুড়িগ্রামের ত্রীমোহনী বাজারের অফিসের আওতায় থাকা ঠিকাদাররা কোন কাজ পেলেই বা অফিস থেকে কোন মালপত্র বের করলে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে শুরু হয় মারপিট। চাঁদা ছাড়া কোন কাজ করতে পারেন না ঠিকাদাররা। রোববার (২২এপ্রিল) ত্রীমোহনী অফিসের মালখানায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জম বুঝে নিচ্ছেন ঠিকাদার বাদশা আলমগীর। এ সময় অপরিচিত দুই যুবক তাকে জোরপুর্বক ত্রীমোহনী বাজারে ডেকে নেন। সেখানে থাকা ১০/১২জন স্থানীয় সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঠিকাদারকে বেধম মারপিট করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের পুনরায় ধাওয়া দেয় সন্ত্রাসীরা। অবশেষে আহত ঠিকাদার বাদশা আলমগীরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে তৃতীয় তলার ৩৪ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন ওই সন্ত্রাসীরা বিদ্যুত ঠিকাদার মেসার্স হাবিব ব্রাদার্সের মালিক এসএম তৌহিদুর রহমানকে ত্রীমোহনী বাজারে একই ভাবে মারপিট করে। এসব ঘটনার বিচার ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করে সোমবার (২৩এপ্রিল) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৭ জন ঠিকাদার বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে আহত ঠিকাদার বাদশা আলমগীর জানান, তিনি গত ৮ মাস আগে হৃদযত্রের অস্ত্রপাচার করেন। সংসার চালাতে অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজে বের হয়েছেন। এ মারপিটের ঘটনায় তিনি বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছেন। অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এতে কিছু না হলে আদালতের আশ্রয় নিবেন বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বাদশা আলমগীর বুকে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছেন। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি হৃদযন্ত্রের রোগী হওয়ায় আশংকা মুক্ত বলা যাবে না।
লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী মমিনুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here