চলতি বছরে দেশে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে:স্বাস্থ্য মন্ত্রী

0
280

খবর৭১:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, চলতি বছরে দেশে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, গ্রামীণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে চিকিৎসকদের অবশ্যই গ্রামে অবস্থান করতে হবে।

মোহাম্মদ নাসিম শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নওগা’র পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ও আকবর ইউনিয়নের জন্য নবনির্মিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক দু’টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

গ্রামের অবস্থা এখন আর তেমন নেই-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুৎ জ্বালানীসহ শহরের মতো সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের গ্রামে থাকতে কোন অসুবিধা হবে না। কাজেই তাদের শহরমুখী না হয়ে গ্রামমুখী হওয়ারও আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উপজেলার খিরশিন গ্রামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ডা. কাজি মোস্তফা সারোয়ার।

জাতীয় সংসদরে হুইপ মো. শহিদুজ্জামান সরকার, মো. ছলিমুদ্দিন তরফদার এমপি, পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহী বিভাগের পরিচালক সরকারের যুগ্ম সচিব মলয় কুমার রায়, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, নওগাঁ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন, পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভিন এবং ঘোষনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশে স্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা, শিশু স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোড়-গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সন্তান প্রসবকালে একটি মাও যেন মৃত্যুবরণ না করে, অনাগত সন্তান যেন নিরাপদে পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।

পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নে খিরশিন এবং আকবর ইউনিয়নের মধইলনামক স্থানে পৃথক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রতিটির জন্য ৪ কোটি ১৬ লাখ করে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here